শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
এমনিতেই এখন গাঁদার চেন খুচরা বাজারে ১৫ টাকার কাছাকাছি বিক্রি হচ্ছে। এই বৃষ্টির জন্য তা ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত চলে যেতে পারে বলে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন। এছাড়া গোলাপ এখন খুচরো বাজারে ১০০ টাকা প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে। তার দামও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। তবে আবহাওয়া ভালো হলে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ফুলের জোগান স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে ফুল চাষিরা জানিয়েছেন।
সারা বাংলা ফুল চাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নারায়ণ নায়েক বলেন, এই সময় ফুলের চাহিদা বেশিই থাকে। তাছাড়া এখন গাঁদা ও গোলাপ ফুল প্রচুর পরিমাণে ফোটে। তাই বিয়ের মরশুম থাকলেও দাম নাগালের মধ্যে থাকে। কিন্তু, এই বৃষ্টিতে ফুল চাষে ব্যাপক ক্ষতি হবে। মূলত হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুরেই গাঁদা, রজনীগন্ধা, জবা ও গোলাপের চাষ হয়। কিন্তু, এখানে বৃষ্টির জন্য সেই ফুল নষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে।
ফুল চাষিরা বলেছেন, হাওড়ায় মূলত গোলাপ, গাঁদা ও জবা ফুলের চাষ বেশি হয়। শুধু বৃষ্টি হলে কুঁড়ির ক্ষতি হত না। কুঁড়ি ফুটতে সময় লাগত। কিন্তু, ঝড় ও বৃষ্টির জন্য কুঁড়ি ও ফুটে যাওয়া ফুলের ক্ষতি হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে গাঁদা বা গোলাপ তিনদিন পর্যন্ত ভালো থাকে। কিন্তু, এই বৃষ্টির জন্য তা দ্রুত পচতে শুরু করে। ফলে বাজারে যাওয়ার আগেই ওই ফুল পচে গেলে চাষিদের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। এছাড়া ঝড়ের কারণে কুঁড়িও ঝড়ে গিয়েছে। ফলে আবহাওয়া ভালো হওয়ার পর ওই কুঁড়ি থেকে যে ফুল ফুটবে, সেই আশাও থাকছে না। আবহাওয়া ভালো না হওয়া পর্যন্ত নতুন কুঁড়ি থেকে ফুল ফুটবে না। ফলে বাজারে ফুলের আকাল দেখা দেবে। আর বিয়ের মরশুম থাকায় এখন ফুলের চাহিদাও তুঙ্গে। ফলে গোলাপ ও গাঁদার দাম অনেকখানি বেড়ে যাবে বলে ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন।
জগন্নাথ ঘাটের ব্যবসায়ীরা বলেন, এখন থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গাঁদা ও গোলাপ ফুল যায়। কিন্তু, বৃষ্টিতে ফুল পচে গেলে তা বাইরে পাঠানো সম্ভব হবে না। আর রবিবার পর্যন্ত যে ফুল পাওয়া গিয়েছে, তা বড়জোর বুধবার পর্যন্ত থাকবে। এদিকে, বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টি চললে বৃহস্পতিবার বা শুক্রবারের আগে নতুন ফুল পাওয়া যাবে না। ফলে চলতি সপ্তাহে ফুলের আকাল দেখা দেবে। এখন যাদের বিয়ের জন্য ফুল কিনতে হবে, তাঁদের গাঁটের কড়ি অতিরিক্ত খসাতে হবে।