শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
জেলা কৃষি দপ্তরের আধিকারিকদের দাবি, বোরো মরসুমে যাঁরা ধান লাগিয়েছেন তাঁদের জন্য এই বৃষ্টি নাইট্রোজেনের কাজ করবে। এছাড়া নাবি আলু, পেঁয়াজের শেষের দিকের সেচের কাজ করবে। শুধু তাই নয় সব্জি চাষেও এই বৃষ্টি সেচের কাজ করবে। তবে ঝড়ের কারণে মাচা ভেঙে গিয়ে করলা, বিনস ও কিছু শসার জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা কৃষি দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর অশোক তরফদার বলেন, এখনও পর্যন্ত যা বৃষ্টি হয়েছে তাতে চাষিদের উপকারই হবে। তবে এরপর পূর্বাভাস অনুযায়ী আরও দু’দিন বৃষ্টি হলে কোনওভাবে জমিতে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হলে তা আলু ও পেঁয়াজ চাষের জন্য ক্ষতিকারক হবে।
জেলা উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির চন্দননগর, চুঁচুড়া, ব্যান্ডেল, পোলবা-দাদপুর ব্লক, মগরা, বলাগড়, সিঙ্গুর, ধনেখালি ও হরিপাল সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক আমের চাষ হয়। ইতিমধ্যেই প্রতিটি আমবাগানে পরিচর্যার পর প্রচুর মুকুলও এসেছে। বেশকিছু গাছে আমের ছোট ছোট গুটিও ধরে গিয়েছিল। কিন্তু, রবিবার রাতে ব্যাপক ঝড়ে কিছু গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে আবার ঝড়ের তাণ্ডবে আমের মুকুল গোড়া থেকে ভেঙে মাটিতে পড়ে গিয়েছে। ফলে গোড়াতেই আমের ফলন কিছুটা ধাক্কা খেল বলে মনে করছেন চাষিদের একাংশ।
চুঁচুড়ার একটি আম বাগানের মালিক প্রকাশ সরকার বলেন, মাস দেড়েক আগে থেকে মকুল আসার জন্য গাছের পরিচর্যা শুরু করেছিলাম। তাই গাছে প্রচুর মুকুল এসেছিল। ইতিমধ্যেই প্রথমে আসা মুকুলগুলিতে গুটি অনেকটাই বড় হয়েছিল। রবিবার রাতের আচমকা ঝড়ে আমের মুকুল ও গুটি ঝরে তলার মাটি ঢাকা পড়েছে। ফলে যেভাবে আম ধরবে বলে আশা করেছিলাম শুরুতেই তা কিছুটা ধাক্কা খেল। তবে কিছু বাগান মালিক অবশ্য এটাকে শুরুর ধাক্কা বলে মানতে নারাজ। গৌতম শর্মা নামে এক বাগান মালিক বলেন, রবিবার রাতের ঝড়ে কিছুটা মুকুল ঝরে পড়েছে ঠিক। কিন্তু এই দফায় যে মুকুল বা গুটি রয়েছে, বৃষ্টি পেয়ে সেগুলি শক্ত হবে। ফলে পরবর্তী সময়ে কালবৈশাখী হলেও তুলনামূলকভাবে কম আম ঝরে পড়বে। তাই এখন কিছুটা ক্ষতি হলেও তা পরবর্তী সময়ের জন্য ভাল হবে।