নবজ্যোতি সরকার : পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুরে রাজ্য আলু ও ভুট্টা গবেষণা খামারে শুরু হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বায়বীয় মাধ্যমে আলুবীজ উৎপাদন। পরীক্ষাগারে নিউক্লিয়ার বীজকে অতি ক্ষুদ্র চারায় রূপান্তরিত করে, তার থেকে টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে সুস্থ ও সবল টিস্যুগুলি কেটে নেওয়া হয়।
নিজস্ব প্রতিনিধি : ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে জারবেরা ফুলচাষ। সমস্ত ফুলবাজারেই জারবেরার দারুণ চাহিদা। পলিহাউসে এখন সারা বছর ধরেই জারবেরা ফুল চাষ করতে পারেন চাষি। শুধু তাই নয়, কোনও কৃষক যদি পলিহাউসে জারবেরা ফুল চাষ করতে চান, তা হলে তিনি মোট খরচের অর্ধেক টাকা উদ্যানপালন দপ্তর থেকে সরকারি অনুদান হিসেবে পাবেন। এজন্য সেই কৃষককে উদ্যানপালন দপ্তরে আবেদন করতে হবে।
ব্রতীন দাস: বোরো ধানের সুস্থ ও সবল চারা তৈরিই প্রাথমিক কাজ। যেসব চাষি সেই কাজটি ঠিকমতো সম্পন্ন করে মূলজমিতে চারা রোপন করে দিয়েছেন, তাঁদের এখন সুসংহত উপায়ে আগাছা নিয়ন্ত্রণ, রোগপোকার দিকে নজর এবং সঠিক সময়ে চাপান সার দেওয়ার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
সংবাদদাতা: উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত ১ ও ২, আমডাঙা, হাবড়া ১ ও ২, গাইঘাটা, বনগাঁ, বাগদা, স্বরূপনগর, বাদুড়িয়া, দেগঙ্গা সহ বিভিন্ন ব্লক থেকে বাজারে আসতে শুরু করেছে হাইব্রিড ফুলকপি। এই কপি পৌষমাসে বোনা হয়েছে। ফাল্গুনের প্রথম থেকেই চাষিরা ফসল বাজারজাত করতে পারছেন। ফলন ভালো। দামও মিলছে ভালোই। ফলে খুশি চাষিরা। মাঠেই প্রতি পিস ফুলকপি ৭-৮ টাকা দরে দাম মিলছে। অনেক চাষি এই ফুলকপিকে ডন ফুলকপিও বলছেন। বারাসত এক নম্বর ব্লকের পশ্চিম খিলকাপুরের চাষি মদন মণ্ডল বলেন, তিনি ফুলকপিতে লাভের আশায় চার বিঘা জমিতে সফেদ মোতি নামে হাইব্রিড জাত চাষ করেছিলেন। বিঘাপ্রতি বীজ লেগেছে ৩৫-৪০ গ্রাম। বিঘা প্রতি ৩ টন জৈব সার ব্যবহার করেছেন। তবে এই প্রথম তিনি জিরো টিলেজ মেশিনের সাহায্যে বীজ বপন করেছেন। এতে বীজের খরচ কিছুটা কমেছে। সারও বেশি লাগেনি। হাবড়া এক নম্বর ব্লকের কুমড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চাষি সাব্বির মোল্লা বলেন, তিনি বাজার ফরিস্তা প্রজাতির হাইব্রিড ফুলকপির বীজ কিনে এনে তাঁর ৩ বিঘা জমিতে চাষ করেছিলেন। তাঁর বাগানের ফুলকপির পাতা সরু হতে শুরু করেছিল। মলিবডেনামের অভাবে এটা হয়। তাই তিনি সোডিয়াম মলিবডেট আধ গ্রাম প্রতি লিটার জলে গুলে বোরাক্স তার সঙ্গে মিশিয়ে বেশ কয়েকবার পাতায় স্প্রে করেন। এতেই কাজ হয়েছে। কপিগুলি ধবধবে সাদা হয়েছে। সঙ্গে টাইটও হয়েছে কপি। বিঘাপ্রতি তিনি ৬-৭ টন কপি পেয়েছেন। বারাসত ২ নম্বর ব্লকের খোলাপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের চাষি সূরজ ঘরামি ও আশা ঘরামি জানিয়েছেন, তাঁরা ৫ বিঘা জমিতে ৫ মাসের জন্য ৫ হাজার টাকা দিয়ে লিজে নিয়ে সেরেনা প্রজাতির হাইব্রিড ফুলকপির চাষ করেছেন। বিঘাপ্রতি ৭ টন ফুলকপি পেতেই হবে। না হলে লিজের টাকা উঠবে না। রোগপোকা যাতে না লাগে, সেজন্য দু’ভাবে তাঁরা বীজ শোধন করেছেন। প্রথমে ৪৮-৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াম তাপমাত্রায় গরম জলে বীজগুলি ১৫-৩০ মিনিট ডুবিয়ে রেখে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকমুক্ত করেছেন। এটা হলো ভিজিয়ে শোধন। এর পর ওষুধ দিয়ে শোধন। ২ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম অথবা আড়াই গ্রাম ম্যানকোজেব (ডায়াথেন এম ৪৫) প্রতি লিটার জলে গুলে বীজগুলি শোধন করেছেন। তাঁরা তাঁদের ফসল অর্থাৎ ফুলকপি জমি থেকে পেতে শুরু করেছেন। ফড়েদের না বিক্রি করে তাঁরা নিজেরাই তাঁদের বাগানে সপ্তাহে একবার কপি কেটে নিয়ে দমদম বাজারে গিয়ে প্রতি পিস ১০-১২ টাকা দরে বিক্রি করছেন। সার, সেচ, ওষুধ মিলিয়ে খরচ পড়েছে বিঘা প্রতি ৫ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা। েন তাঁরা। তবে তাঁরা ১৪: ৩৫: ১৪ সারের উপর ভরসা রেখেছেন।
