বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী চাষিদের আয় বাড়ানোর জন্য নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। চাষিদের লাভের মুখ দেখাতে নতুন নতুন চাষের পদ্ধতিকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। পয়রা চাষ বিভিন্ন এলাকায় জনপ্রিয় হয়েছে। এই চাষ করতে প্রায় খরচই হয় না অথচ উৎপাদন বেশি হয়। আমরা অন্য জেলাতেও এই চাষের ভালো দিকগুলি তুলে ধরে প্রচার চালাব। জেলার সহ কৃষি অধিকর্তা (তথ্য) অমরকুমার মণ্ডল বলেন, এই চাষে চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে। অত্যন্ত কম খরচে এই চাষ হওয়ায় চাষিদের অনেক বেশি লাভবান হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
চিরাচরিত পদ্ধতির পাশাপাশি চাষিদের আয় বাড়াতে বিভিন্ন বিকল্প চাষের উপরও জোর দেওয়া হচ্ছে। এতে লাভও হচ্ছে চাষিদের। বিকল্প চাষে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ডালশস্যের উপর। এই বিকল্প চাষের একটি পদ্ধতি হল ‘পয়রা চাষ’। পায়রাদের খাবার দেওয়ার মতোই এই চাষে জমিতে ডাল শস্যের বীজ ছড়িয়ে দেওয়া হয়। কৃষি দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই পদ্ধতিতে চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করতে হয় না। ধান কাটার কয়েকদিন আগে আর্দ্র মাটিতে বিঘা প্রতি ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম বীজ ছড়িয়ে দিতে হয়। এতেই প্রায় বিঘা প্রতি এক কুইন্টাল বা তার কিছু বেশি ফলন পাওয়া সম্ভব। আরও ভালো ফলন পেতে গেলে বীজের সঙ্গে অল্প কিছু সার ছড়িয়ে দিতে হয়। সাধারণ পদ্ধতিতে চাষের তুলনায় কম সময়েই ফসল ঘরে তোলা যায়।
এই পদ্ধতিতে বেশ কিছু সুবিধা পায় চাষিরা। একদিকে আলাদা করে জমি প্রস্তুত করতে হয় না। ফলে চাষের খরচ সিংহভাগ কমে যায়। এরজন্য আলাদা করে সেচেরও প্রয়োজন হয় না। কম সময়েই ফসল চাষিরা ঘরে তুলতে পারেন। চাষিরা এতে ভালো লাভবান হন। প্রথমে জেলার বিভিন্ন ধান জমিতে এই পদ্ধতিতে খেসারির চাষ করা হচ্ছিল। কিন্তু এবছর থেকে সর্ষে, মুসুর ডালেরও চাষ হচ্ছে। প্রায় বিনা খরচে ফসল ঘরে তোলা যায় দেখে চাষিদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে। জেলায় এবার ৪০ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে সর্ষে চাষ হয়েছে। যার বেশ কিছুটা এই পদ্ধতিতে করা হয়েছে। অন্যদিকে জেলায় মোট ৩৮৫০ হেক্টর জমিতে খেসারি চাষ হয়েছে। এক্ষেত্রেও বেশকিছু পায়রা চাষের মাধ্যমে শস্য বোনা হয়েছে। কৃষি দপ্তরও চাইছে পায়রা চাষ পদ্ধতি আরও বেশি চাষি গ্রহণ করুক।
মুরারই-১ ব্লকের মুর্শিদপাড়া গ্রামের চাষি বিশ্বজিৎ দত্ত বলেন, আমি ৬ বিঘা জমিতে এই পদ্ধতিতে চাষ করেছি। ব্যাপক ফলন হয়েছে। আমি উপকৃত হয়েছি। অন্যান্য চাষিরাও এই পদ্ধতিতে চাষ করলে লাভবান হবে। একই অভিমত ওই এলাকার চাষি ভারতজ্যোতি দত্ত, শিশিরকুমার দত্তর।