বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
ব্লক কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লকের সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েত, দৌলত নগর গ্রাম পঞ্চায়েত ও ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বেশি মুসুর চাষ হচ্ছে। সেই সঙ্গে সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েত, মশালদহ গ্রাম পঞ্চায়েত, দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও এ মরসুমে চাষিরা মুসুর চাষে ঝুঁকেছেন।
ব্লক কৃষি দপ্তর থেকে পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে শোধন করা বীজ কৃষকদের সরবরাহ করা হয়। হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা কিঙ্কর দে তরফদার বলেন, এমরসুমে ব্লকে প্রায় ৪০০ হেক্টর জমিতে মুসুর চাষ হচ্ছে। ব্লকে তিনটি জাতের মুসুর চাষ করা হয়। রঞ্জন, সুব্রত ও আশা এই তিনটি জাতের মধ্যে আশা বেশি চাষ করেন চাষিরা। মুসুর রোপণের সময় চাষিদের বীজ শোধন করে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। জমিতে রাইজোবিয়াম কালচার মিশিয়ে মুসুর বুনতে হবে। সেই সঙ্গে জমির মাটি পরীক্ষা করতে হবে। যদি মাটি অম্ল হয় তবে বিঘা প্ৰতি জমিতে এক কুইন্টাল চুন প্রয়োগ করতে হবে। অম্ল মাটিতে ভালো ফলন হয় না। মুসুর বোনার ৩০-৪০ দিনের মধ্যে অনুখাদ্যের মিশ্রণ স্প্রে করতে হবে। নানা ধরনের চাপান সারের পরিবর্তে ডিএপি সারের স্প্রে করতে হবে। ২০০গ্রাম ডিএপি প্রতি ট্যাঙ্কে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ভালো ফলনের জন্য একর প্রতি ৮কেজি নাইট্রোজেন, ২০কেজি ফসফরাস ও ৮কেজি পটাশ প্রয়োগ করতে হবে। চাষিরা জানান,বর্তমানে ফুল এসেছে এরপর শুটি তৈরি হবে। এসময় ছত্রাকের আক্রমণ হতে পারে। বেশি কুয়াশার কারণে ডগার পাতা বাদামি হয়ে কালো হয়ে যায়। তবে এই বছর কুয়াশা বেশি হয়নি বলে সেই আশঙ্কা নেই। ফাল্গুন মাসের শেষ সপ্তাহে বা চৈত্র মাসের প্রথম সপ্তাহে মুসুর মাঠ থেকে ঘরে তোলা হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বিঘা প্রতি আড়াই থেকে তিন কুইন্টাল ফলন হবে এবার। এই ফলন হলে অনেক বেশি মুনাফা অর্জন করা যাবে বলে চাষিরা জানান।
ব্লকে এই মরসুমে চাষিরা মুসুর চাষ করে ভালো ফলন ও অধিক মুনাফা অর্জন করবে।