শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
২০০৫-২০০৬ সাল নাগাদ নিঠারিকাণ্ড ঘিরে দেশজুড়ে শোরগোল ওঠে। সেসময় সংবাদ শিরোনামে ছিল মণীন্দ্র সিং পান্ধের ও তার চাকর সুরেন্দ্র কোলির ঘটনা। গোটা বিশেক মানুষকে খুন করে গ্রেপ্তার হয়েছিল তারা। সেই নিঠারিকাণ্ডের ছায়াতেই পরিচালক আদিত্য নিম্বলকর নেটফ্লিক্সের জন্য তৈরি করেছেন ‘সেক্টর ৩৬’। আদিত্য দীর্ঘদিন ধরে বিশাল ভরদ্বাজের সঙ্গে যুক্ত। ফলে প্রত্যাশার অতিরিক্ত চাহিদা নিয়ে সিনেমাটি দেখতে বসবেন দর্শক, সেটিই স্বাভাবিক। যদিও আদিত্যর এটি ডেবিউ সিনেমা।
সেক্টর ৩৬’এ বিক্রান্ত ম্যাসি রয়েছেন মুখ্য চরিত্র শ্যামের ভূমিকায়। সে বিরল মানসিক রোগে আক্রান্ত। তার মালিক বলবীর সিং বস্যিও গ্রেপ্তার হয়। তবে প্রভাব খাটিয়ে রেহাই পায়। শ্যাম থেকে যায় জেলে। সে পুলিসের কাছে স্বীকার করে, নৃশংস ভাবে গোটা ২৪ খুন করেছে। প্রি ক্লাইম্যাক্সে কনফেশন পর্বটিকেই সম্ভবত সিনেমার অন্যতম ট্যুইস্ট বা টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখাতে চেয়েছিলেন আদিত্য। আর এখানেই তাল কাটে।
পুলিসের সাব ইন্সপেক্টর রাম চরণ পান্ডে (দীপক ডোবরিয়াল) এবং পুলিস সুপারের সামনে দু-একটি কথার পর সেরকম নির্দিষ্ট কোনও প্রশ্নের সামনাসামনি না হয়েও আচমকা অপরাধ স্বীকার করে নেয় শ্যাম। ছোটবেলায় মামার হাতে অত্যাচার হওয়ার যুক্তি খাড়া করে দুর্বলভাবে। এখানে অতি স্বাভাবিক হতে গিয়ে অতি অভিনয়ও যেন করে ফেলেন বিক্রান্ত। সবমিলিয়ে ছন্দ নষ্ট হয় সিনেমাটির। দর্শক খানিক হতাশও হবেন হয়তো। ফলে রোমহর্ষক নিঠারিকাণ্ড, বিশাল ভরদ্বাজের শিক্ষা, বিক্রান্তের মতো শক্তিশালী অভিনেতা, দীপকের অনবদ্য পারফরম্যান্স, খুঁতহীন ক্যামেরার কাজ সত্ত্বেও ‘সেক্টর ৩৬’ বেশিদিন মনে থাকবে কি? সন্দেহ থেকেই যায়।