কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মিঞা-বিবি দু’জনেরই পর্দায় উপস্থিতি বেশ কম। গৌরবের শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘বিসমিল্লা’। সেখানে তাঁর অভিনয় অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছিল। অন্যদিকে ঋদ্ধিমা নিজের শেষ মুক্তি পাওয়া ছবির নাম চট করে মনে করতে পারলেন না। বরং বললেন, ‘টুকটাক কাজ করতেই থাকি সবসময়।’ তাহলে পর্দায় কম উপস্থিতির কারণ কী? দু’জনেরই উত্তর, ‘কম কাজ করাটা সচেতন সিদ্ধান্ত।’ গৌরবের কথায়, ‘একজন অভিনেতাকে পর্দায় কতটা দেখা যাবে সেটা আমাদের হাতে থাকে না। একবছর টানা বসে থেকেছি, এমনও হয়েছে। এছাড়া আমি পছন্দ হলে তবেই কাজ করি। ‘বিসমিল্লা’ দেখার পর রাজ চক্রবর্তীর মনে হয়েছে, আমাকে হয়তো এখনও সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি। তিনি আমাকে ‘আবার প্রলয়’তে দারুণ একটা সুযোগ দিয়েছেন।’
অন্যদিকে ঋদ্ধিমার দাবি, ‘আমি সত্যিই খুব বেছে কাজ করি। পছন্দ না হলে একদমই করি না। তবে এটাও ঠিক আমি নিজে প্রযোজক বা পরিচালক নই। আমার নিজেকে নতুন করে প্রমাণ করারও নেই। আমাকে বরাবর স্টিরিওটাইপ ভালো মেয়ের চরিত্রেই ভাবা হয়। ‘সেভেন’এ অঞ্জন দত্ত আমাকে অন্যভাবে ভেবেছেন। সুযোগটা আসলে তবে তো সেটাকে কাজে লাগাব। জানি না ঠিক কী কারণ!’ খানিকটা ক্ষোভ প্রকাশ পেল ঋদ্ধিমার কথায়।
হতাশা নেই
কম কাজ করেও কোনও হতাশা গ্রাস করেনি দম্পতিকে। ‘আমি জানি আমার ভালো কাজ পাওয়ার যোগ্যতা রয়েছে। তবে সেটা আসে না বলে হতাশাগ্রস্ত নই। কারণ শুধুমাত্র টাকা রোজগারের জন্য আমি কোনওদিন অভিনয় করিনি’, বললেন ঋদ্ধিমা। গৌরবের আবার পারিবারিক অভিনয়ের ধারা রয়েছে। তুলনাও হয় নানা সময়। তা কি হতাশা তৈরি করে? ‘কাজের ক্ষেত্রে বাবা মায়ের নামের চাপটা আমাদের কখনও বহন করতে হয়নি। তবে আমাকেও ইএমআই দিতে হয়। এই জায়গা থেকে কখনও কখনও চাপ অনুভব হলেও হতাশা আসে না। কারণ অপছন্দের কাজকে না বলতে পারাটাই বিশাল ব্যাপার। শুধুমাত্র ভালো কাজগুলো করে যে অর্থ উপার্জন হচ্ছে আমি জানি সেটাতেই আমার চলে যাবে।’
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
দুজনেই ভবিষ্যতে পরিচালনার স্বপ্ন দেখেন। তবে সেটা সময়সাপেক্ষ। গৌরবের পডকাস্ট ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়। অভিনেতা হেসে বললেন, ‘যদি ভালো ছবি নাও পাই আমি জানি শুধুমাত্র পডকাস্ট বা ভয়েজের কাজ করে আমার ভালোভাবে চলে যাবে।’ ঋদ্ধিমা অবশ্য অভিনয় ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে এখনই ভাবছেন না। বললেন ‘আমি ভালো বেকিং করি। বন্ধুরা বলে একটা বেকারি করতে। দেখা যাক কী হয়...।’ ছবি: দীপেশ মুখোপাধ্যায়