কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
চলতি সিজনের ৩৫০টি পর্ব সানন্দে পেরিয়ে এল এই শো। প্রতিদিন কোনও না কোনও ভালোলাগার মুহূর্ত তৈরি হয়। এখনও পর্যন্ত আপনার কাছে সেরা কোনটা? রচনা বললেন, ‘আসলে প্রতিটি সিজনই আমার খুব কাছের। বুম্বাদা (প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়) এসেছিলেন, সেটা স্পেশাল। আসলে আমি সেটে যখন হা হা করে হাসি সেটাও মন থেকে। আবার চোখের জলটাও মন থেকেই পড়ে। আমি যখন সেটে ঢুকি তখন মনে হয় আজ আবার দিদিদের কাছ থেকে কিছু শিখে বাড়ি ফিরব। তাই প্রত্যেকটা দিন মনে রাখার মতো।’
দীর্ঘ ১১ বছর ধরে এই ধরনের একটা শোয়ের সঙ্গে যুক্ত থেকে মানুষ হিসেবেও বদলেছেন নায়িকা। তা অকপটে স্বীকার করে নিলেন। বললেন, ‘এই শোয়ে আমি শিখেছি কীভাবে আরও মাটির কাছাকাছি থাকা যায়। কোনও দুঃখই দুঃখ নয়। জীবনের কোনও জায়গায় থেমে না থেকে আনন্দের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়া। সব জায়গায় সদর্থক চিন্তাভাবনা। নেতিবাচক কোনও ভাবনা জীবনে না রাখা। দুঃখের মধ্যেও কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায় সেটা দিদিরা শিখিয়েছেন। সেজন্যই বোধহয় আজকাল আর কোনও দুঃখই দুঃখ মনে হয় না। কেউ যদি কষ্ট দেওয়ার চেষ্টা করে আমি ভ্রুক্ষেপও করি না। এইসব ছোটখাট জিনিস আমাকে একটুও ভাবায় না।’
কয়েক মাস আগে বাবাকে হারিয়েছেন রচনা। ব্যক্তিগত এই ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়। তবুও কাজই দিয়েছে বেঁচে থাকার রসদ। বাবার কথা উঠলেই আজও চোখে জল আসে। ‘বাবা চলে যাওয়ার পরে জীবনটা একটু অন্যরকম হয়ে গিয়েছে। একটা বিশাল ধাক্কা তো বটেই। কিন্তু এমন তো প্রচুর দিদিরা আসেন, যাঁদের বাবা, মা কেউ নেই। অথচ তাঁরা জীবনে লড়াই করেছেন, এগিয়ে গিয়েছেন। ফলে তাঁরা যদি সব দুঃখ ভুলে জীবনে এগিয়ে যেতে পারেন আমিও হয়তো পারব। হয়তো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছু বদলে যাবে। সেটা ভেবেই মনকে বুঝিয়েছি। আটকে না থেকে এগিয়ে গিয়েছি। বাবা কখনও চাননি, বাড়িতে বসে থাকি। তাই কাজ করে যাচ্ছি।’