পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সীতা-অপহরণ থেকে রাজসভায় দ্রৌপদীর লাঞ্ছনা, শূর্পণখার নাক কাটা থেকে সতীদাহ, পুরাণে ও সমাজে নারী-বিদ্বেষের সনাতন ঐতিহ্যের প্রবাহকে কিছু সংলাপ ও ঘটনার জালে ধরা হয়েছে। শ্মশানচারিণী এক কিশোরীর গণধর্ষণ এবং জীবন্ত অগ্নিসংযোগে মৃত্যু একটি আঞ্চলিক সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার সূত্রপাত ঘটায়। এদিকে বাড়ির পিছনে জঞ্জালের মধ্যে একটি পরিত্যক্ত শিশুকন্যাকে ঘিরে সামাজিক, রাজনৈতিক ও আইনগত কিছু দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। মহাকাশ মিশনের মানসিক প্রস্তুতির মাঝেই ভারতীয় বিমানবাহিনীর টেস্ট পাইলট ও বাড়ির মালকিন (ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত) তার সুললিত চেতনার আলোয় চার পেয়িং গেস্ট ছাত্রছাত্রীকে সমৃদ্ধ করে। বাড়ির অনাহূত অতিথি শাসক দলের নেতা (শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়) রবীন্দ্রনাথের ‘ঘরে বাইরে’ উপন্যাসের সন্দীপকে মনে করিয়ে দেয়। রাজনৈতিক মতাদর্শ, সামাজিক বাস্তবতা ও ব্যক্তিগত লক্ষ্য পূরণের ত্রিস্তরীয় অ্যাজেন্ডার মধ্যে যে নিখুঁত ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে। এক রাজনৈতিক কৌশল নির্মাতা (পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়) একটু ব্যতিক্রমী, আবেগপ্রবণ ও আদর্শবাদী।
পরিচালক রঞ্জন ঘোষের এটি চতুর্থ ছবি। প্রথম তিনটি ছবির প্লট-নির্ভরতার ইতিহাসে সাময়িক ছেদ টেনে এখানে তিনি মুহূর্ত-নির্মাতা। তাঁর চিত্রনাট্যে প্রতিটি চরিত্রই জীবনের সহজাত কোনও না কোনও অপরাধবোধে আচ্ছন্ন। তাদের স্মৃতি-নির্ভর আত্ম-বিশ্লেষণকে কিছু অবধারিত ফ্ল্যাশব্যাক দৃশ্যভাবনার সাহায্য নিতে হয়েছে। সিংহভাগ ফিল্ম-টাইম যখন একই আবদ্ধ স্থানে অতিবাহিত হয়, তখন একঘেয়েমির আশঙ্কা তৈরি হয়। সিনেমাটোগ্রাফার শুভদীপ দে’র বারবার ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল পরিবর্তন এবং অমিত পালের ছিমছাম সম্পাদনায় সেই সমস্যা হয়নি। মঞ্চের প্রপ সব সময় সেলুলয়েডে মানায় না। আক্রান্ত কিশোরীর হৃদয়-বিদারক দৌড়ের অতবার পুনরাবৃত্তি না দেখালেও চলত। সাহসী প্রয়াস নিঃসন্দেহে। তবে বাণিজ্যিকভাবে কতটা সফল হবে তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।