যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
তার আগে স্বয়ং সোনাদার সঙ্গেই দেখা হয়ে গেল প্রযোজক সংস্থার অফিসে। সোনাদার চরিত্রাভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়ের শোনালেন অভিযানের সারসংক্ষেপ। ‘এবারে আরও বেশি অ্যাডভেঞ্চার। সুবর্ণ সেন এখন অনেক পপুলার। বিশেষ করে ছোটদের কাছে। ফলে খ্যাতির বিড়ম্বনাও বেড়েছে।’ গল্পের গতি আবর্তিত হবে চক্রাকারে। আবিরের ভাষায় ‘গোলকটা বেশি। আগেরবার ধাঁধাটা বেশি ছিল।’ সোনাদাই শুনিয়ে দিলেন, ‘আবির (অর্জুন চক্রবর্তী), ঝিনুক (ইশা সাহা) আগের থেকে অনেক ম্যাচিওর। ওদের ভলোবাসার জায়গাটাও অনেক পোক্ত। প্রতিপক্ষও নতুন ভুজঙ্গ হাজরা (সৌরভ দাস)।’ অভিযানে নামার আগে ছোটদের মুখে ‘সোনাদা’ ডাকটাই উৎসাহিত করে তুলছে আবিরকে। বলছিলেন, ‘এবার পুজোয় এটা আমার বিশেষ পাওয়া।’ একই আধারে দুই সত্যান্বেষী। আবির একসময় ব্যোমকেশ, আবার একসময় সোনাদা। ঠোকাঠুকি লাগে না? ‘একদমই না। ব্যোমকেশ একটা অন্য সময়ের মানুষ। চলন, বলন, কথা বলা, পোশাক, সেন্টিমেন্ট, মানসিকতা দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ আলাদা। সোনাদা একদম আজকের। ভীষণভাবে ধরাছোঁয়ার মধ্যে। গম্ভীর কথাগুলো সহজভাবে বলে দেয়। একদম বন্ধুর মতো।’ পুজোর ভিড়ে সোনাদা কি কিঞ্চিৎ ঝুঁকি নিয়ে ফেলল না? দাপুটে অভিযাত্রিকের মতোই আশঙ্কা নস্যাৎ করে আবির বলে ওঠেন, ‘বাঙালি জীবনে দুর্গা পুজোর মতো বড় উৎসব আর নেই। মানুষ আবার জীবনকে সেলিব্রেট করছে। এই উদযাপনে সোনাদা-আবির-ঝিনুকও সামিল হোক না, ক্ষতি কী?’ অভিযানে নামার আগে সোনাদার স্লোগান কী? ‘চারপাশে যা যা ঘটছে সেগুলো দেখতে হবে। শুনতে হবে এবং পড়তে হবে। কারণ, জীবন থেকে যা শিক্ষা পাওয়া যায় তার থেকে বড় গুপ্তধন আর নেই। ভালোবাসাটাই সেরা রত্ন। আমাদের ইতিহাসকে জানতে হবে। সংরক্ষিত করতে হবে।’
সেই ইতিহাস আর ঐতিহ্যের তাড়নাতেই তিন বছর পর সোনাদা সিরিজ। স্রষ্টা তথা পরিচালক চান সোনাদা, আবির আর ঝিনুককে নিয়ে বাংলার যে বিপুল ঐতিহাসিক সম্ভার আছে তার সন্ধান করতে। ধ্রুব বললেন, ‘উত্তরাধিকার সূত্রে আমি পেয়েছি বাঙালিয়ানা, ইতিহাস, সংস্কৃতি, সাহিত্য। আমার প্রতিটি ছবিতে সেটারই উদযাপন।’ চতুর্থবারে তাই ধ্রুবর অন্বেষণে কর্ণসুবর্ণ। সাফল্যের রহস্য? ‘সোনাদার মতো সোনার ছেলে প্রতিটি বাঙালি পরিবারেই লুকিয়ে আছে। এটাই সাফল্যের বীজ।’ দাবি পরিচালকের। শুধুমাত্র সিনেমার জন্যই সৃষ্ট সোনাদাকে নিয়ে ভবিষ্যতে বই লেখার ইচ্ছে থাকলেও সবটাই সময়ের উপর ছেড়ে দিতে চান তিনি। মনে করিয়ে দেন, সোনাদা কিন্তু গোয়েন্দা নয়। এমন টল, হ্যান্ডসাম, রোমান্টিক সোনাদার প্রেমিকা রূপে এবারও কি কাউকে দেখা যাবে না? হেঁয়ালি করেন পরিচালক। ‘জানি না। সোনাদাকেও আমার একই প্রশ্ন, তাঁর প্রাক্তন ছাত্রী সেবন্তী সরকার এবার এসেছে কি না।’ শুনে গালে টোল ফেলে পর্দার সোনাদার উত্তর ‘প্রেমে যে পড়েনি সোনাদা সে কথা কখনও স্বীকারও করেনি, আবার অস্বীকারও করেনি। দেখাই যাক না কী হয়!’