কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বুলেট ট্রেন শুধু অ্যাকশন ফিল্ম নয়। কমেডি –অ্যাকশন কম্বো। তবে কমেডির যা বহর তাতে হাসবেন, না বিরক্তিতে ছবি শেষ হওয়ার অপেক্ষা করবেন, সে আপনার সিদ্ধান্ত। পরিচালক ডেভিড লিচ ঠিক কী ভাবনা চিন্তা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন, বোঝা মুশকিল! সারা দুনিয়া জানে জাপানের বুলেট ট্রেন ঘণ্টায় প্রায় ৩২০ কিলোমিটার বেগে ছোটে। সেখানে স্টেশন থেকে লাফ দিয়ে কীভাবে যে সেই দুরন্ত যানের মাথায় চড়ে বসা যায়, তা পরিচালকই জানেন। শুধু কি তাই! কয়েকটা ঘুসির মাধ্যমে সেই ট্রেনের কাঁচ ভাঙাও যে অতি বড় রূপকথা! সেই সঙ্গে আবার এক মহিলা সুপারি কিলার, যে বিষাক্ত সাপ নিয়ে ঘোরে এবং সেই সাপের বিষ দিয়ে খুন করে। প্রশ্ন হল, সাপের বিষ সে কীভাবে সংগ্রহ করে? উত্তর মেলেনি, কারণ ছবির শেষ দৃশ্য পর্যন্ত সাপটি বেঁচে থাকলেও তার মালকিন মারা যায়। ওদিকে আবার ২৬ বছর ধরে চলে আসা শত্রুতা খতম করতে কেন যে উক্ত বুলেট ট্রেনটিকেই জাপানের ডন নির্বাচন করল কে জানে! এত খুন-মারামারির পরেও পরিচালক বুলেট ট্রেনটি খণ্ড-বিখণ্ড করে ছাড়লেন। এমনকী ছবির অন্তিম পর্বে সান্ড্রা বুলকের আবির্ভাবে সবেমাত্র দর্শক খুশি হতে শুরু করেছেন, তখনই তাঁর গাড়ি চাপা পড়ে ট্রেনের টুকরোর নীচে।
এতদিনে বুঝে গিয়েছি, বাংলা বা হিন্দি মশালা ছবি দেখে কোনও প্রশ্ন করতে নেই। হলিউড ছবি অবশ্য বহুকাল এই লিস্টে যুক্ত হয়েছে। তা বলে ব্র্যাড পিটও যে কেরিয়ারের শেষদিকে এই জগাখিচুড়ি ছবিতে হাজির হয়ে নিজের এতদিনের পাশ করা মার্কশিটে গোল্লা যোগ করতে চাইবেন, তা আর কেই-ই বা আন্দাজ করতে পেরেছিল!