কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
‘লাইগার’ ছবিটির জন্য অনেকটা সময় মুম্বইয়ে কাটালেন। প্রথম মুম্বই দর্শন কবে?
পাঁচ-ছয় বছর আগে স্লিপার বাসে করে প্রথম মুম্বই এসেছিলাম। তখন পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করতাম। কিন্তু প্রথম মুম্বই আসা অভিনয়ের জন্য নয়। ইউরোপে মামার সঙ্গে দেখা করতে যাব বলে ভিসার জন্য আবেদন করেছিলাম। ভিসা বাতিল হয়ে গিয়েছিল আমার। কারণ অ্যাকাউন্টে টাকা ছিল না। দু’দিন মতো এই শহরে ছিলাম। অসম্ভব প্যাচপেচে গরম ছিল সেবার। তাই সবমিলিয়ে মুম্বইয়ে প্রথম অভিজ্ঞতা মোটেও ভালো ছিল না।
এখন মুম্বই কেমন লাগছে?
‘লাইগার’ ছবির পুরো শ্যুটিং এখানেই হয়েছে। খুবই উপভোগ করেছি। এই ইন্ডাস্ট্রির অনেকের সঙ্গে চেনাজানা হয়েছে। সবমিলিয়ে এবারের অভিজ্ঞতা ভালোই।
ছবির প্রোমোশনের জন্য বিভিন্ন শহরে যাচ্ছেন। সর্বত্র আপনাকে ঘিরে তুমুল উন্মাদনা। উপভোগ করছেন নিশ্চয়ই?
সত্যি বলতে শুরুতে বুঝতেই পারিনি যে, আমি এত জনপ্রিয়। এসব আমার কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। বিভিন্ন শহরে মানুষ আমার নামে জয়ধ্বনি দিচ্ছে। মানুষের এই ভালোবাসা দেখে আমার মা তো আবেগে কেঁদে ফেলেছিলেন।
এই জনপ্রিয়তা ধরে রাখার চাপও তো আছে।
আমি কখনও এসব মাথায় নিই না। তবে মানুষের ভালোবাসা পেতে হলে আমাকে আরও ভালো ভালো কাজ করতে হবে। অভিনয় আমার পেশা। এটা আমি ভালোবাসি। তবে এটাও জানি, এসব সাময়িক, দীর্ঘস্থায়ী নয়।
আপনার মহিলা অনুরাগীর সংখ্যা প্রচুর। এটা উপলব্ধি করলেন কবে?
খুব সম্ভবত, ‘অর্জুন রেড্ডি’ ছবির পর থেকে। বরাবরই মেয়েদের থেকে সাপোর্ট পেয়ে এসেছি। দিদা আর ঠাকুরমার সঙ্গে দারুণ বন্ডিং ছিল আমার। মা আর ওঁদের ভূমিকা আমার জীবনে অনেকখানি। আমার কেরিয়ারও শুরু হয়েছিল এক মহিলা প্রযোজকের হাত ধরে।
আপনার লাভ লাইফও তো চর্চায় উঠে আসে...
(লাজুক হেসে) সম্পর্ক নিয়ে বেশি কিছু বলি না আমি। এমন এক পেশা বেছে নিয়েছি, যেখানে আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মানুষের কৌতূহল থাকবেই। কিন্তু আমার সঙ্গীর সেটা পছন্দ নাও হতে পারে।
আপনি অনেককে অনুপ্রাণিত করেন। ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম কে আপনাকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন?
সেরকম কেউ নেই। তবে অর্থ উপার্জন করা আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা ছিল। চেয়েছিলাম মানুষ যেন আমাকে সম্মান করেন। মাকে দেখেছি গয়না নেই বলে হীনম্মন্যতায় ভুগতে। মায়ের ইচ্ছে ছিল নিজের একটা বাড়ি হবে। সেই ইচ্ছেটা আমি পূরণ করেছি।
মাইক টাইসনকে কেমন লাগল?
দুর্দান্ত। ওঁর সঙ্গে আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া, মারপিট সবকিছুই উপভোগ করেছি। এই বয়সেও সুপার ফিট। ভোর চারটেতে উঠে ওয়ার্কআউট করেন। সকাল নয়টায় কলটাইম থাকত। উনি চলে আসতেন আটটাতেই। আমার জীবনে এটা সোনালি স্মৃতি হয়ে থেকে যাবে।
করণ জোহরের সঙ্গে ‘লাইগার’ সফর তাহলে তো ভালোই...
মুম্বইয়ে করণের সঙ্গেই প্রথম দেখা করেছিলাম। উনি হিন্দি ছবি করার প্রস্তাব দিলেও আমি প্রস্তুত ছিলাম না। ‘লাইগার’ এর চিত্রনাট্য আমি করণকে শোনাই। ওঁর সঙ্গে কাজ করা সত্যি অনেক বড় আশীর্বাদ। দেশ জুড়ে নতুন প্রতিভা খুঁজে বেড়ানোর নেশায় এখন মত্ত ও।