বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
১৯৭৫ সাল। শুনলাম শক্তি সামন্ত একটা ছবি প্রযোজনা করবেন— ‘বালিকা বধূ’। বিমল করের উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটা নাকি আগে বাংলায় হয়েছে। মুখ্য ভূমিকায় মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। তারই হিন্দি রিমেক। পঞ্চমদাকে সুরকার হিসেবে বাছলেন শক্তিদা। পরিচালক তরুণ মজুমদার। ওই বছরই আমার ‘গীত গাতা চল’ মুক্তি পেয়েছে। সুপারহিট ছবি। ওই সময়, ছ’মাসের মধ্যে ২৮টা ছবি সাইন করেছিলাম। তাই শক্তিদা যখন ‘বালিকা বধূ’র জন্য আমার নাম প্রস্তাব করলেন, ডেট নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। আর তরুণদাও নতুন একটা মুখ খুঁজছিলেন। শক্তিদা ওঁকে অনেক বোঝালেন, ছোট থেকে কাজ করলেও এখনও পর্যন্ত লিড হিসেবে শচীনের একটাই ছবি মুক্তি পেয়েছে। তাই এক অর্থে ও নতুনই। তাও কিছুটা নিমরাজি হয়েই তরুণদা আমাকে কাস্ট করতে রাজি হলেন।
মুম্বইয়ে আমার সঙ্গে প্রথম দেখা তরুণদার। খুবই কম কথা বলতেন। শ্যুটিং কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পর বলেছিলেন, ‘নতুন মুখ খুঁজছিলাম। তবে তুমি আমাকে ভুল প্রমাণ করলে।’ এই ছবির ‘বড়ে আচ্ছে লাগতে হ্যায়’ গান সঙ্গীতপ্রেমীদের মনে আজও রয়েছে। কী অসাধারণ গেয়েছিলেন অমিতকুমার। মুম্বইয়ের ইনডোর শ্যুটিং সেরে শান্তিনিকেতন গিয়েছিলাম এই গানের আউটডোর শ্যুটিংয়ে । কবিগুরুর শান্তিনিকেতন তরুণদার হাত ধরেই চেনা। ওঁর সঙ্গে আরও একটা হিন্দি ছবি করার কথা ছিল।’ দুঃখের বিষয় কোনও কারণে সেই ছবিটা আর হয়নি।