পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গ্রেফতারের পঁচিশ বসন্ত পরে একটি টেলিভিশন টক শো-এ হোস্ট শাহরুখ খান স্বভূমিকায় সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন ভাগ্যপীড়িত বিজ্ঞানীর। ছবির প্রথমার্ধ জুড়ে নাম্বির ছাত্রজীবনের অসংলগ্ন ও অপ্রাসঙ্গিক গৌরবগাথা। আইভি লিগ অন্তর্ভুক্ত একটি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কঠিন জ্বালানি কর্মসূচিতে ছাত্র নাম্বির একগুচ্ছ অ্যাচিভমেন্টের পসরা। এরপর বিগত শতকের সাত ও আটের দশক জুড়ে ইসরোর সবকিছু ভালোর ঝোলই একা নাম্বির কোলে টানতে গিয়ে গল্প সেই যে ভারসাম্য হারাল, আর ফিরতে পারল না। একা নাম্বি যেন নাগাড়ে চার-ছয় হাঁকাচ্ছেন। আর তাঁর তিন সহকর্মী উন্নি, পরম ও সরতাজ স্রেফ চিয়ারলিডার।
রোলস রয়েস কোম্পানির সিইও’র সঙ্গে ইসরোর ডিল, ফরাসি মহাকাশ সংস্থার সঙ্গে বিকাশ রকেট ইঞ্জিন উৎক্ষেপণ বিষয়ক চুক্তি, রাশিয়ার সমর্থন সুনিশ্চিতকরণ, সবকিছুই নাম্বি একার হাতে করে চলেছেন। ইসরোকে প্রায় ওয়ান-ম্যান আর্মিতে টেনে নামানো হয়েছে। বিক্রম সারাভাই (রজত কাপুর) সহ সম্পূর্ণ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেন নাম্বিকে যথেচ্ছ স্বেচ্ছাচারিতার ছাড়পত্র দিয়ে রেখেছেন, যার ভিত্তিতে এককভাবে যা খুশি প্রতিশ্রুতি দেওয়া যায়, যা খুশি সংকল্প গ্রহণ করা যায়। শিল্পের লাইসেন্স এভাবেই গোটা ছবি জুড়ে দর্শকদের মাথার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
সামান্য একটি হলিউড সায়েন্স ফিকশন ছবি তৈরির খরচে ২০১৩ সালের নভেম্বরে মঙ্গলের কক্ষপথে ইসরোর মঙ্গলযানের সফল উৎক্ষেপণ আমাদের জাতীয় গৌরব। ছবির শেষভাগে এই প্রজেক্টে গল্পের প্রত্যাবর্তন ঘটেছে।
ছবির বিষয় জাতীয় মহাকাশ গবেষণা, অথচ সারা ছবিতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের উল্লেখ মাত্র একবার। ১৯৬০ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত যে সময়কালকে ছবিতে ধরা হয়েছে, তার মধ্যে ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, পি ভি নরসিংহ রাও, মনমোহন সিংহদের কোনও উল্লেখ নেই। স্পষ্ট রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডাটি হল, স্বাধীনতা পরবর্তী ছ’টি দশক জুড়ে ভারতে কোনও ভালো কিছু ঘটেইনি।
নাম্বির স্ত্রী মীনার সংক্ষিপ্ত চরিত্রটিতে সিমরনের অভিনয় অনবদ্য। ক্যামেরার সামনে অভিনেতা মাধবন কোনও সুযোগই হাতছাড়া করেননি। কিন্তু ক্যামেরার পিছনে লেখক-পরিচালক মাধবন একটা বিশাল ক্যানভাসকে ধরার সুযোগ পেয়েও হেলায় হাতছাড়া করেছেন। যে সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে পারলে এই ছবিটি রকেটের মতোই অনন্য উচ্চতা ছুঁয়ে ফেলতে পারত।