রথযাত্রায় হই হই ব্যাপার। সেই উপলক্ষে ‘আলতা ফড়িং’ ধারাবাহিকের অন্দরমহলে আমন্ত্রিত স্টার জলসার চলতি আর সদ্য শেষ হওয়া ধারাবাহিকের জনপ্রিয় চরিত্ররা। এনটিওয়ান স্টুডিওর শ্যুটিং ফ্লোরের সামনেই পত্রে-পুষ্পে সাজানো বিশাল রথ। তাতে স্বমহিমায় অধিষ্ঠান করছেন স্বয়ং শ্রীজগন্নাথ, সুভদ্রা, বলরাম। গান ধরেছেন সুচিত্রাদেবী। অভ্রর মা। মঙ্গলদীপ জ্বেলে, অন্ধকারে দু’চোখ আলোয় ভরো ...।’ সব অন্ধকার দূর হয়ে অভ্র-ফড়িং আজ এক হয়েছে। ওদিকে অনুতপ্ত সংকীর্ণমনা পৌষালি। অহংকারী মেয়ে একাই টানতে গিয়েছিল রথ। চাকা নড়েনি। কোথা থেকে বালক-বালিকার রূপ ধরে এসে যেন স্বয়ং জগন্নাথদেব, বলরাম, সুভদ্রা তাকে বলল, ‘তুমি যার ক্ষতি করতে চেয়েছ, তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নাও, তাতে প্রভুর মান মিটবে।’ ঘাবড়ে গিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে সে। অভ্র জয়ধ্বনি দিয়ে ওঠে জয় জগন্নাথ। টান পড়ে রথের রশিতে। অঙ্গন ছেড়ে মাসির বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিলেন শ্রীজগন্নাথ, দেবী সুভদ্রা, শ্রীবলরাম। সেই যাত্রায় শামিল স্টার জলসার সদ্য শেষ হওয়া ধারাবাহিক ‘খুকুমণি হোম ডেলিভারি’র দীপান্বিতা-রাহুল, ‘মহাপীঠ তারাপিঠ’-এর নবনীতা, ‘বউমা একঘর’এর রাজু-টিয়া, দুই খুদে লাড্ডু-উদিতা সহ অনেকে।
দুই খুদে সঞ্চালক লাড্ডু-উদিতা এবছর রথ টানার জন্য টগবগ করে ফুটছে। ওদিকে জগন্নাথদেবের ভোগ তৈরির সময় বাগড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছিল পৌষালি। সফল হয়নি। সসম্মানে ভোগ রান্নায় উতরে গিয়েছে ফড়িং। এই চরিত্রের অভিনেত্রী খেয়ালি মণ্ডলের বাড়িতে রথের চেয়ে সরস্বতি পুজোতেই বেশি হইচই হয়। তবে পাড়ায় সবাই মিলে রথ টেনেছেন ছোটবেলায়। উত্তরপাড়ার ছেলে অর্ণব ওরফে অভ্র মাহেশের রথ টেনেছেন, ছোট রথ সাজিয়ে পথ পরিক্রমাও করেছেন। কিন্তু সিরিয়ালে এমনভাবে পুজো করে, ভোগ নিবেদন করে রথ টানা যাবে স্বপ্নেও কল্পনা করেননি তিনি বা আয়েন্দ্রি সহ সেদিনের আমন্ত্রিতরা।