রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
রীতের (কিয়ারা) সঙ্গে তাদের পরিত্যক্ত হাভেলিতে আশ্রয় নেয় রুহান (কার্তিক)। প্রেমিকের সঙ্গে বোনের বিয়ে দেওয়ার উদ্দেশে রীত নিজের মিথ্যে মৃত্যুসংবাদ প্রচার করে। ঘটনাচক্রে গোটা পরিবারকে উঠে আসতে হয় হাভেলিতে। শুরু হয় আসল কাণ্ড। হাভেলির একটি ঘরেই মঞ্জুলিকার (টাবু) প্রেতাত্মা বন্দি। ছবিটি আদ্যপান্ত ভৌতিক। ১৫ বছর আগের ছবি ‘ভুলভুলাইয়া’র সঙ্গে তুলনা করলে দুই পরিচালকের দেখার দৃষ্টিভঙ্গির তফাতটাই মূল। ‘ভুলভুলাইয়া’র পরিচালক প্রিয়দর্শন ভৌতিক পরিবেশ তৈরি করলেও ছবির শেষে একটি মনস্তাত্ত্বিক সমস্যাকে (ডিসোসিয়েটিভ আইডেন্টিটি ডিসঅর্ডার) সামনে এনেছিলেন। আনিস সেই পথে হাঁটেননি। অবশ্য, কিছু গা ছমছমে ভালো ভৌতিক সিক্যুয়েন্স তৈরি করেছেন। ছবিটা বাজিমাত করেছে কমেডি অংশে। সংলাপ ও দৃশ্য দর্শককে হাসাবে। কমেডির প্রশংসা করলে অভিনেতাদের কথাও আলাদা করে উল্লেখ করতে হয়। এই ধরনের ছবির জন্য কার্তিক পারফেক্ট। তাঁর কমিক টাইমিং বেশ ভালো। তবে, কিয়ারা যেন ছবির সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্যই রয়েছেন। নায়িকা হিসেবে তাঁর চরিত্রের আরও একটু গুরুত্ব থাকা উচিত ছিল। সঞ্জয় মিশ্র, রাজপাল যাদব, রাজেশ শর্মা ও অশ্বিনী কালসেকরের কমেডিও ভালো। পুরনো ছবি থেকে একমাত্র রাজপালই এখানে আছেন। টাবু ভালো অভিনেত্রী। এ ছবিতেও তার অন্যথা হয়নি। পুরনো ছবি থেকে ‘ভুলভুলাইয়া’ ও ‘আমি যে তোমার’ গান দু’টি ব্যবহারের পাশাপাশি অরিজিৎ সিং ও তুলসী দুয়া এবং হানি সিং ও আরমান মালিকের যে গান দু’টি ব্যবহার করা হয়েছে, তাও শুনতে ভালো লাগে। সব মিলিয়ে বিনোদন মূলক ছবি হিসেবে ‘ভুলভুলাইয়া-২’ দর্শককে নিরাশ করবে না।