গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
একটি আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের মুখোশ খুলতে ডাক পড়ে অগ্নির। অগ্নির মিশনে দূর থেকে ছায়াসঙ্গী তার বস (শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়)। এই মানব পাচার চক্রের নেপথ্যে রয়েছে মধ্য ভারতের কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া রুদ্রবীর (অর্জুন রামপাল)। একসময় অগ্নি ও রুদ্র একে অপরের মুখোমুখি হয়। এরপর গল্প কোন দিকে মোড় নেয়, তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
রজনীশ ঘাই পরিচালিত এই ছবি বলিউডের নারীকেন্দ্রিক অ্যাকশন এন্টারটেন ঘরানার। স্বাভাবিকভাবেই এ ছবি কঙ্গনার একার। তিনি সেইমতো নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। দুরন্ত অ্যাকশন, সংলাপ, একজন এজেন্টের একাকিত্ব—সব মিলিয়ে পর্দায় তাঁকে ভালো লাগে। অর্জুনও এখানে ব্লন্ড হেয়ারস্টাইলে ভয়ঙ্কর খলনায়ক হয়ে উঠেছেন। তবে তাঁর চরিত্রটিকে আরও ভালোভাবে প্রতিষ্ঠা করা যেত। যেটা করা হয়নি। আবার প্রায় ছবি জুড়ে শাশ্বত থাকলেও তাঁর উপস্থিতি সেভাবে দাগ কাটে না। দিব্যা দত্ত যে কোনও চরিত্রেই যে নজর কাড়েন, তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। অন্যদিকে, দ্রুত গতির অ্যাকশন থ্রিলার হিসেবে ছবির দৈর্ঘ্য একটু বেশি মনে হয়। তবে, অ্যাকশন কোরিওগ্রাফি এবং বিশেষ করে ক্যামেরার প্রশংসা না করে উপায় নেই।
আসলে ভুলে গেলে চলবে না শুধু মারপিট আর সংলাপ কোনও ছবিকে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। তার জন্য প্রয়োজন আঁটসাট গল্প ও ভালো চিত্রনাট্য। এই ছবির সবথেকে বড় সমস্যা সেখানেই। ছবির গল্প ও চিত্রনাট্য কঙ্গনার প্রয়াসকে ব্যর্থ করেছে। তাই ছবি জুড়ে ছোট ছোট মুহূর্ত তৈরি হলেও তা যেন শেষপর্যন্ত মনে জায়গা করে নিতে পারে না। ছকভাঙা পথে এগলেও শেষপর্যন্ত সফরটা বড্ড ক্লান্তিকর মনে হয়। অতএব কঙ্গনা, বেটার লাক নেক্সট টাইম।