পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মে মাসের বক্স অফিস মানে তো আপনাদের হোম গ্রাউন্ড। এবারে অন্য খেলোয়াড়রাও উপস্থিত। কতটা কনফিডেন্ট?
শিবপ্রসাদ: আড়াই বছর পরে আমরা একটা ছবি নিয়ে আসছি। এই মাসে যাঁদের ছবি মুক্তি পাচ্ছে, বিগত আড়াই বছরে তাঁদের কোনও না কোনও ছবি মুক্তি পেয়েছে। তাই আমাদের ছবি দেখতে যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁদের অনুরোধ করব ছবিটা দেখতে।
নন্দিতা: মে মাস মানেই আমাদের ছবি, এই ট্রেন্ডটা ভেঙে দিয়েছিল করোনা। শুধু আমরা নয়, প্রত্যেকের ছবিই আটকে ছিল। দর্শক আবার সিনেমা হলে আসছেন দেখে ভালো লাগছে।
শিবপ্রসাদ: আপনি কনফিডেন্সের কথা বললেন। ফেসবুকের একটা কমেন্ট পড়ে শোনাই। একজন লিখছেন, ‘ছবিটা মুক্তির দিন আমার বাবা-মায়ের ৪৫তম বিবাহবার্ষিকী। বেলাশুরু দিয়ে এবছর শুরু হবে ওদের আগামীর যাত্রা।’ এইরকম আবেগই তো কনফিডেন্স বাড়ায়।
‘বেলাশেষে’ তৈরির আগেই সিক্যুয়েল করার ভাবনা ছিল? নাকি ‘বেলাশুরু’ দর্শকদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের ফল ?
শিবপ্রসাদ: অবশ্যই দর্শক। ‘বেলাশেষে কোলাহল’ নাটক ছিল ‘বেলাশেষে’ ছবির অনুপ্রেরণা। আর পবিত্রচিত্ত নন্দী এবং গীতা নন্দী নামে দমদমের এক বর্ষীয়ান দম্পতির জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার আধারে ‘বেলাশুরু’। দু’জনেরই ইচ্ছে ছিল সৌমিত্রদার পাশে বসে ছবিটা দেখার। কোভিড দু’জনকেই কেড়ে নিয়েছে!
তাহলে কি দুটো গল্পের মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে?
নন্দিতা: ধাঁধাটা প্রথমেই কাটিয়ে দিই। ‘রামধনু’র সিক্যুয়েল কিন্তু ‘হামি’ নয়। লাল্টু ও মিতালি চরিত্র দুটো রয়েছে মাত্র। এখানেও চরিত্র একই, গল্পটা নতুন। সিক্যুয়েল নয়। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, দুটো গল্পের মধ্যে যাতে কোনও মিল না থাকে।
ছবির প্রচারপর্বে যাবতীয় আলোচনায় মধ্যে উঠে আসছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। ওঁদের কতটা মিস করছেন?
শিবপ্রসাদ: আমি বিশ্বাস করি, শিল্পী অমর। আর শিল্পীর কাজকে ঠিক জায়গায় পৌঁছে দেওয়া একটা বড় দায়িত্ব। জুটি হিসেবে এই ছবিই ওঁদের শেষ কাজ। ওঁরা এর মাধ্যমেই আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবেন। এখনও পর্যন্ত ঠিক করেছি, প্রিমিয়ারে আমাদের ড্রেস কোড সাদা। ওঁদের স্মরণে দুটো আসন ফাঁকা রাখব।
পরিচালক হিসেবে কি আপনাদের মনে কোনও আক্ষেপ রয়ে গেল?
নন্দিতা: প্রচুর। কত ছবি ওঁদের নিয়ে ভাবা হয়েছিল। সেগুলো আর হবে না ভেবে খারাপ লাগে।
শিবপ্রসাদ: ২০২০ সালের জুন মাসে শেষ সৌমিত্রবাবুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। ডিসেম্বর থেকে টানা ৬০ দিনের ডেটও নেওয়া ছিল। কিন্তু ভাগ্যের লেখাটা অন্যরকম ছিল। কী আর করা যাবে!
এই ছবিকে ঘিরে সৌমিত্রবাবুর কোনও বিশেষ স্মৃতি?
শিবপ্রসাদ: সাধারণত চিত্রনাট্য শোনার সময় কোনওরকম কথা বলতেন না সৌমিত্রদা। ঘড়ি ধরে চিত্রনাট্য শোনার পর বলেছিলেন, ‘মাপে আছে। এবারেও ছক্কা।’ অর্থাৎ ছবির দৈর্ঘ্য একদম যথাযথ।
নন্দিতা: ‘বেলাশেষে’র সময় বলেছিলেন, ‘টিকিটের সঙ্গে একটা করে রুমাল দিও।’ এবার ডাবিং শেষ করে বেরিয়ে বলেছিলেন, ‘টিকিটের সঙ্গে একটা করে বাটির ব্যবস্থা কোরো।’
আর স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের?
শিবপ্রসাদ: আগের ছবির মতো এবারেও বারবার জিজ্ঞাসা করেছেন, ‘ছবি দেখে লোকে আমাকে খারাপ ভাববে না তো?’
নন্দিতা: (হেসে) ‘বেলাশেষে’ রিলিজের পর দিদির এই ধারণা একদম বদলে গিয়েছিল।
হিন্দিতে ‘পোস্ত’ করলেন। এবারে কি ‘বেলাশেষে’ শুরু করবেন?
শিবপ্রসাদ: ইচ্ছে তো আছে। তবে কোনওকিছু ঠিক হয়নি।
বিভিন্ন সময়ে কাস্টিং নিয়ে অমিতাভ ও জয়া বচ্চনের কথা উঠে এসেছে। আপনাদের কোনও ব্যক্তিগত পছন্দ আছে?
শিবপ্রসাদ: আসলে ‘বেলাশেষে’র কাস্টিং করা খুবই কঠিন। সত্যি বলছি, এখনও কিছু ভাবিনি।