কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রুদ্রাণী ওরফে রুদ্র (নুসরত জাহান) শখের ক্রিপ্টোগ্রাফার। পেশায় ব্যাঙ্কে চাকুরে রুদ্রাণী তার বইপ্রকাশ উপলক্ষে লন্ডনে হাজির হয়। সেখানে এক তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিতে চাকরি করে রুদ্রাণীর স্বামী প্রিয়ম (গৌরব চক্রবর্তী)। ইতিমধ্যে ডঃ সিগমন্ড শুমাখার (শতাফ ফিগার) রুদ্রাণীর সঙ্গে দেখা করেন। জানা যায়, শুমাখারের দাদুর তৈরি ক্যান্সারের প্রতিষেধক ফর্মুলা লুকিয়ে রাখা আছে সঙ্কেতের আকারে। রুদ্রাণীকে তা উদ্ধার করে দিতে হবে। সেই ফমুর্লা উদ্ধার করার পর রুদ্র-প্রিয়ম জড়িয়ে পড়ে এক মারাত্মক ষড়যন্ত্রে। তারা বুঝতে পারে, ক্যান্সারের প্রতিষেধক নয়, ওই ফুর্মলা থেকে তৈরি হয়েছে মারণ ভাইরাস। এদিকে প্রতিষেধক খুঁজতে গিয়ে আজাদ হিন্দ বাহিনীর রেডিও ইঞ্জিনিয়ার সত্যেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের নাতি সুভাষ চট্টোপাধ্যায়ের (দ্বৈত চরিত্রে রুদ্রনীল ঘোষ) সাহায্য চায় রুদ্রাণী। এরপর প্রতিষেধকের সন্ধানেই গল্প এগিয়েছে পরিণতির দিকে।
বাংলায় এই ধরনের ছবি তৈরির প্রয়াস প্রশংসনীয়। দেবারতি মুখোপাধ্যায়ের ‘নরক সঙ্কেত’ উপন্যাস অবলম্বনে এই ছবির চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন সৌগত বসু। সিনেমার প্রয়োজনেই চিত্রনাট্যে মূল গল্পের বেশ কিছু রদবদল ঘটানো হয়েছে। তবে কয়েকটি জায়গায় যৌক্তিকতার অভাব রয়েছে। লন্ডনে পরপর খুনে পুলিসের কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে ফর্মুলা লুকোতে সত্যেন্দ্রনাথের পদক্ষেপগুলোতেও বিশ্বাসযোগ্যতার ছাপ নেই। কিছু কিছু দৃশ্যে চরিত্রদের তথ্য সমৃদ্ধ সংলাপ বলার ধরনও চাপিয়ে দেওয়া মনে হয়।
এই ছবিতে নুসরতের অভিনয় বেশ স্মার্ট। গৌরবের সঙ্গে তাঁর জুটি ভালো লাগল। স্বল্প পরিসরে শতাফও মন্দ নন। অন্যদিকে, নেতাজির ভূমিকায় অভিনয় শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই পরীক্ষায় তিনি পাশ করেছেন। নেতাজির লুকের জন্য মেকআপ শিল্পী সোমনাথ কুণ্ডুর ধন্যবাদ প্রাপ্য। দ্বৈত চরিত্রে রুদ্রনীলও খারাপ নন। তবে রুদ্রনীলের বয়স্কলুকের মেকআপ আরও ভালো হতে পারত। রাজানারায়ণ দেবের আবহসঙ্গীত ভালো হলেও ছবিতে গানের প্রয়োজন ছিল না। রহস্য সমাধানের বিভিন্ন মুহূর্তে আধুনিকতার ছাপ রাখতে টুবানের সিনেমাটোগ্রাফিকে যোগ্য সঙ্গত করেছে ভিএফএক্স। সায়ন্তনের শুরুর দিকের ‘আলিনগরের গোলকধাঁধা’ ও ‘যকের ধন’-এর মতো ছবিতে ছিল ধাঁধার মাধ্যমে রহস্যোদ্ধার। এই ছবিও সেই গোত্রেই জায়গা করে নিল।