বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
— বিভাস চক্রবর্তী, নাট্যব্যক্তিত্ব
অনেকদিন ধরেই ভুগছিলেন। সত্যি কথা বলতে, আমার আর এক মা চলে গেলেন। ওঁর কাছেই আমি থিয়েটারের সমস্ত কাজ শিখেছি। গুরুগৃহেই আমার বাস ছিল। একসঙ্গে ২২ বছরের পথচলা। উনি আমাকে শিখিয়েছেন, যাই হোক না কেন জীবনকে সহজে নেবে এবং শিরদাঁড়া সোজা রাখবে।
— অর্পিতা ঘোষ, নাট্যবক্তিত্ব
আমি ওঁকে শেষবার ছোঁয়ার সুযোগটা পেয়েছি। সেই দুর্লভ মানুষদের মধ্যে আমি একজন। উনি আমার অভিভাবকের মতো ছিলেন। একটা যুগের অবসান ঘটল। কোনও কিছু লিখে বা পড়ে, শাঁওলিদি কেমন লাগল? এটা জিজ্ঞেস করার একজন মানুষ চলে গেলেন।
— দেবেশ চট্টোপাধ্যায়, নাট্যব্যক্তিত্ব
দূরদর্শনে বাবা (শ্যামল সেন) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মালঞ্চ’ নাটক পরিচালনা করেছিলেন। সেখানে তিন মূল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মা (চিত্রা সেন), সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও শাঁওলি মিত্র। তার মহড়া আমাদের বাড়িতে হয়েছিল। ‘স্বপ্ন সন্ধানী’র ‘প্রথম পার্থ’ নাটক দেখার পর উনি একটা দীর্ঘ চিঠি লিখেছিলেন আমাদের। সব মানুষ তো কোনও একটা বিশ্বাস থেকে শিল্প করেন। শাঁওলিদির কাজে ওই বিশ্বাসটা ধরা যেত। বিশেষ করে ‘নাথবতী...’ ছাড়াও ‘বিতত বিতংশ’ এবং ‘রাজনৈতিক হত্যা?’ আমার খুব ভালো লেগেছিল।
— কৌশিক সেন, নাট্যব্যক্তিত্ব
ছোটবেলায় দেখেছি, শাঁওলিদি খুবই নিয়মমাফিক চলতেন। আমরা বেশ কিছু আবৃত্তির অনুষ্ঠান একসঙ্গে করেছিলাম। সেই সময় শাঁওলিদির কাছে আবৃত্তি শিখতে যেতাম। আমার মঞ্চে ওঠার তাগিদের পিছনে ওঁর অবদান রয়েছে। অনেক পরে উনি একটু দূরত্ব বাড়িয়েছিলেন। সরকারি কবিতা উত্সবে অনুষ্ঠান করতেও রাজি হননি।
— ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়, বাচিকশিল্পী
উত্তম মঞ্চকে একটা বিকল্প মঞ্চ করে তোলার জন্য আমাদের ‘তৃতীয় সূত্র’ আর শাঁওলিদির ‘পঞ্চম বৈদিক’ একটা উদ্যোগ নিয়েছিল। মাস ছ’য়েক মতো সপ্তাহান্তে নাটক মঞ্চস্থ হতো। সেই সময় আমি আর শাঁওলিদি একটা যৌথ প্রযোজনার কথাও ভেবেছিলাম। আমার নির্দেশনায় শাঁওলিদির অভিনয় করার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি।
— সুমন মুখোপাধ্যায়,
নাট্যবক্তিত্ব-চলচ্চিত্র পরিচালক