পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মহেশ পরিচালিত ‘অর্থ’, ‘ফির তেরি কাহানি ইয়াদ আয়ি’ ও ‘জখম’ থেকে শুরু করে তাঁর প্রযোজিত ‘ওহ লমহে’ ছবিতেও বলিউডের এই অন্যতম চর্চিত প্রেম কাহিনির বিভিন্ন দিক দর্শক ইতিমধ্যে দেখে ফেলেছেন। তাই দর্শক ওয়েব সিরিজটির মধ্যে নতুন কিছু পাওয়ার আশা করলে ঠকবেনই ঠকবেন। শঙ্করের তিনটে ছবি ফ্লপ করেছে। চতুর্থ ছবি হিট না করলে কেরিয়ার শেষ। এদিকে মা, মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে তার অভাবের সংসার। এমতাবস্থায় সুপারস্টার আমনা পারভেজের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় শঙ্করের। একদিকে ভালোবাসা ও উজ্জ্বল কেরিয়ারের হাতছানি,অন্যদিকে পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতা। এই দু’য়ের মধ্যে জেরবার মানুষটার জীবনস্রোতকেই গল্প অনুসরণ করেছে।
শঙ্করের চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই মুহূর্তে বি-টাউনের অন্যতম শক্তিশালী অভিনেতা তাহির রাজ ভাসিন। ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে আপস করা একজন শিল্পীর চরিত্রটিকে তিনি বাস্তবসম্মতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। তবে পর্দায় তাঁর প্রেমিক সত্তাকে অধিকাংশ দৃশ্যেই অবলীলায় গোল দিয়েছেন অভিনেত্রী অমলা পাল। এই সিরিজে তিনি আমনার চরিত্রে। সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত এবং নিজের একাকিত্বের সঙ্গে লড়তে থাকা বলিউডের প্রথম সারির একজন নায়িকার চরিত্রে তিনি এককথায় অসাধারণ। বলা যেতেই পারে, এখনও পর্যন্ত পরভিন বাবিকে পর্দায় যাঁরা ফুটিয়ে তুলেছেন, তুলনায় তাঁদের মধ্যে অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন অমলা। শঙ্করের স্ত্রী অঞ্জুর চরিত্রে অমৃতা পুরীকে আরও জায়গা দেওয়া যেত। শঙ্করের মায়ের চরিত্রে জারিনা ওয়াহাবের বিশেষ কিছু করার ছিল না। স্বল্প পরিসরে ভালো লাগে নয়না সারিন ও পরশ প্রিয়দর্শনের অভিনয়।
সিরিজের শিল্প নির্দেশনা ও পোশাক পরিকল্পনা দর্শককে সাতের দশকের বলিউডের নস্টালজিয়া উপভোগ করতে সাহায্য করে। চিত্রনাট্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন অনুষঙ্গের সঙ্গে বলিউড অনুরাগীরা বাস্তবের প্রচুর যোগসূত্র খুঁজে পাবেন। তবে, তা গল্পকে কোনওরকম বাড়তি সাহায্য করেনি। সিরিজে বর্তমান সময়কাল হিসেবে ২০০৫ সাল এসেছে। তবে এই পর্বে অভিনেতাদের মেকআপ অত্যন্ত বেমানান ঠেকে। অপ্রয়োজনীয় কিছু সাবপ্লট ও সম্পাদনায় কিছু দৃশ্য বাদ দিলে হয়তো দর্শকের ক্লান্তি আরও কমানো যেত।
সিরিজের প্রথম এপিসোডের প্রথম দৃশ্যে কথকের ভূমিকায় শঙ্কর বলে, ‘সমস্ত গল্পের একটা শুরু আর একটা শেষ থাকে, যার মধ্যে থেকে কিছু ঘটনা ভুলে যাওয়াটাই ভালো। কিন্তু সবাই আবার ভুলতে পারে না।’ সাগরপাড়ের টিনসেল টাউনে ‘মহেশ-পরভিন’ আখ্যানও কিছুটা সেরকম। তাই হয়তো বারবার পর্দায় তাঁদের ফিরে আসা।