গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গল্পটা বলছে দার্জিলিঙে কর্মরত সাংবাদিক অমিতাভ (অর্জুন চক্রবর্তী)। সিরিজের নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে, একটি খুনের ঘটনাকে ঘিরে গোটা গল্প এগিয়েছে। শুধুই খুন নয়। গল্পের মধ্যে প্রেম রয়েছে। প্রেমে ভাঙন রয়েছে। আর এই সবকিছুর মধ্যে উচ্চ শ্রেণির সাহেবিয়ানাও রয়েছে। খুনের রহস্য সমাধানের পিছনে দৌড়তে থাকে অমিতাভ। এর মধ্যে শিলার (অনিন্দিতা বসু) সঙ্গে প্রেম দেখানো হয়েছে। এই শিলার প্রাক্তন প্রেমিক আবার ফুটবল খেলোয়াড় বব দাস (সুপ্রভাত দাস)। গল্পের এই ক্ষেত্রটি খুন থেকে সরে গিয়ে একটা নতুন আঙ্গিক যোগ করেছে। এই সকল চরিত্রগুলো কোথাও গিয়ে এক সুতোতে বাঁধা। সকলের জীবনের ক্রাইসিসগুলো এক বিন্দুতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই সুতোতে গিঁট রয়েছে। পরিচালক গিঁট কীভাবে ছাড়ালেন, তার জন্য সিরিজটি দেখতে হবে।
দর্শক এখন ওটিটির দৌলতে নানা ভাষায় থ্রিলার সিরিজ দেখে থাকেন। এই থ্রিলারকে সেইসবের সঙ্গে তুলনা করলে ভুল করা হবে। এই গল্প আদ্যন্ত আধুনিক বাঙলির গল্প। যে বাঙালি গোটা দিনজুড়ে দামি মদ খায়, দামি সিগারেট খায়। গাড়ি চড়ে। পাহাড়ের মহিলারা অধিকাংশ সময় চড়া মেকআপ করে থাকে ঠিকই, কিন্তু চিকিত্সকের ভূমিকায় সন্দীপ্তা সেনের লিপস্টিকটি বড়ই চোখে লাগছিল। পুলিসের চরিত্রে রাজদীপ গুপ্তকে আরও একটু সিরিয়াস দেখালে ভালো লাগত। এছাড়া পরিচালকের চরিত্রে সৌরভ চক্রবর্তী, লেখকের চরিত্রে রজত গঙ্গোপাধ্যায়, শাশ্বতী গুহঠাকুরতা, দীপক হালদার, অনিন্দিতা, সুপ্রভাত সকলেই ভালোই অভিনয় করেছেন। ছবিতে ছোট্ট চরিত্রে স্বয়ং অঞ্জন দত্ত রয়েছেন। সিরিজের গানগুলো সেই পুরনো অঞ্জন দত্তের স্টাইলে ধরা দেয়। ছবির ক্লাইম্যাক্সে বিটোফেনের সঙ্গীত ব্যবহার করা হয়েছে। বেশ ভালোই লেগেছে। সব মিলিয়ে এই সিরিজ দেখতে মন্দ লাগে না। আরও ভালো করে বলতে গেলে দার্জিলিং দেখতে অসাধারণ লাগে।