কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় অভিনয় করবেন উত্তম-ঘরণী গৌরী দেবীর ভূমিকায়। সুপ্রিয়া দেবীর ভূমিকায় থাকছেন সায়ন্তনী রায়চৌধুরী। তরুণকুমার, সলিল দত্ত ও উত্তম-পুত্র গৌতমের ভূমিকায় দেখা যাবে যথাক্রমে বিশ্বনাথ বসু, অরিন্দোল বাগচী ও অনুভব কাঞ্জিলালকে। মহানায়কের ছবির দুই গুরুত্বপূর্ণ নায়িকা সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকায় রাসমণি খ্যাত দিতিপ্রিয়া রায় এবং সুমিত্রা মুখোপাধ্যায়ের চরিত্রে সম্পূর্ণা লাহিড়ী অভিনয় করতে চলেছেন। কেরিয়ারের মধ্যগগনে থাকা মহানায়ককে যেমন এ ছবিতে ধরা হবে, তেমনই তাঁর কৈশোরকালও ছুঁয়ে যাবে ছবির গল্প। কিশোর উত্তমের ভূমিকায় তীর্থরাজ বসু ও স্নেহা দাস থাকছেন কিশোরী গৌরী দেবীর ভূমিকায়।
মৃত্যুর চল্লিশ বছর পর আজও স্বমহিমায় বাঙালি হৃদয়ে বেঁচে রয়েছেন উত্তমকুমার। পর্দায় মহানায়ক সাজার সুযোগ পেয়ে কী রকম অনুভূতি হচ্ছে? শাশ্বত বললেন, ‘কারও পক্ষেই ওই জায়গাটায় পৌঁছনো সম্ভব নয়। প্রচুর আলোচনা শুনছি। সত্যিই চাপ বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু চাপ আমি নেব না। অভিনয়ের সময় চরিত্রটা উপভোগ করব। যতটুকু চিত্রনাট্য শুনেছি, আমার মনে হয়েছে, তারিয়ে তারিয়ে কাজটা করতে হবে। কে কী ভাবলেন, কে কী তুলনা টানলেন— ওসব ভাবলে চলবে না। কারণ, ছোট থেকেই আমি তুলনার ব্যাপারে অভ্যস্ত। তাই কোনও রকম চাপ না নিয়ে মন খুলে অভিনয় করব। আর একটা কথা বলি, আমি ভগবানে বিশ্বাসী নই। তবে, যাঁর ভূমিকায় অভিনয় করতে যাচ্ছি, তাঁকে বিশ্বাস করি।’
উত্তমকুমার-সুচিত্রা সেন জুটি শুধু বাংলার নয় ভারতীয় চলচ্চিত্রে একটি আইকনিক জুটি। তাই পর্দার ‘সুচিত্রা’ কী বললেন? ‘মহামারীর আতঙ্ক এখনও আমরা সম্পূর্ণ কাটিয়ে উঠিনি। তার মধ্যে এই রকম একটা ছবির ঘোষণা আলাদা উৎসাহ জোগায়। অতনুদাকে ধন্যবাদ, এরকম একটা চ্যালেঞ্জিং প্রস্তাব আমাকে দেওয়ায়। হয়তো আমার সমালোচনাও হতে পারে। তবুও এরকম একটা উদ্যোগকে আমি সমর্থন করি। আমার চরিত্রের সঙ্গে যাঁর নাম জুড়ে রয়েছে, তিনি আমাদের সকলের আইকন। তাঁর সম্পর্কে বলার ধৃষ্টতা আমার নেই। সাধ্য মতো এই চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করার চেষ্টা করব।’
পরের মাস থেকে শুরু হতে চলেছে ‘অচেনা উত্তম’-এর শ্যুটিং। সুপ্রিয় দত্তের ক্যামেরা ধরবে মহানায়কের জীবনকে। সঙ্গীত পরিচালনা করছেন উপালি।
ছবি : ভাস্কর মুখোপাধ্যায়