বাড়তি অর্থ পাবার যোগ আছে। পদোন্নতির পাশাপাশি কর্মস্থান পরিবর্তন হতে পারে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পক্ষে থাকবে। ... বিশদ
দেশ থেকে বিভিন্ন ভাষার মোট ২৭টি ছবির মধ্যে এই ছবিটিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। তালিকায় এই বছর কোনও বাংলা ছবি ছিল না। জুরি বোর্ডে বাংলা থেকে ছিলেন পরিচালক অতনু ঘোষ ও কসটিউম ডিজাইনার সাবর্ণী দাস। ‘ছপাক’, ‘শকুন্তলা দেবী’, ‘ছলাং’, ‘গুলাবো সিতাবো’, ‘দ্য স্কাই ইজ পিঙ্ক’, ‘বুলবুল’ সহ বেশ কয়েকটি ছবিকে হারিয়ে ‘জালিকাট্টু’ এই দৌড়ে শামিল হয়েছে। পাহাড়ের এক কসাইখানা থেকে একটি ষাঁড় হঠাত্ই পালিয়ে যায়। সেই ষাঁড়কে খোঁজার জন্য গ্রামের সমস্ত মানুষ বেরিয়ে পড়ে। এভাবেই শুরু হয় ‘জালিকাট্টু’র গল্প। হরিশের ছোটগল্প ‘মাওইস্ট’ অবলম্বনে এই ছবি তৈরি। অভিনয় করেছেন অ্যান্টনি ভার্গিস, চেম্বান বিনোদ জোস প্রমুখ।
ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার বিচারকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান রাহুল রাওয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে এই ছবি সম্বন্ধে বলেছেন, ‘মানব জীবনের বেশকিছু কঠিন সমস্যা এই ছবির মাধ্যমে বেরিয়ে এসেছে, যা দিয়ে প্রমাণ হয়ে যায় আমরা পশুর চেয়েও অধম।’ তিনি আরও বলেন, ‘গোটা ছবিটা একটি পশুর গল্প বলে, যে কসাইখানা থেকে পালিয়ে গিয়েছে। চমত্কারভাবে শ্যুট করা হয়েছে ছবিটি। ছবির মাধ্যমে যে আবেগ বেরিয়ে এসেছে, তা আমাদের সকলকে অভিভূত করেছে।’ ২০১৯ সালের টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে এই ছবিটি প্রথম প্রদর্শিত হয়েছিল। গত বছর গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে এই ছবির জন্যই সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছিলেন পেলিসেরি। এখন শুধুই অপেক্ষা। অস্কারের মূল মঞ্চে ‘জালিকাট্টু’ বাজিমাত করতে পারে কি না সেটাই দেখার।