বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
লকডাউনের পর এই প্রথম কলকাতায় কোনও বলিউড ছবির শ্যুটিং হচ্ছে। ‘বব বিশ্বাস’ ছবির প্রথম শিডিউলের শ্যুটিং লকডাউনের আগেই শহরে সেরেছিলেন ছবির পরিচালক দিয়া অন্নপূর্ণা ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা পরিচালক সুজয় ঘোষ। এই ছবিতে অবশ্য তিনি প্রযোজক। আনলক পর্বে বাকি শ্যুটিং শেষ করতেই আরও একবার কলকাতায় ঘাঁটি গেড়েছে সুজয়ের প্রোডাকশন টিম। এই দিনও মেয়েকে ছায়ার মতো আগলে রাখতে দেখা গেল তাঁকে। করোনো আবহ মাথায় রেখেই শ্যুটিং ফ্লোরে ছিল সুরক্ষার কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনি। ছোট্ট টিম নিয়ে শ্যুটিং চলছিল। শ্যুটিং জোনে প্রবেশের আগেই চোখে পড়ল টেবিলে সারি সারি স্যনিটাইজারের বোতল। সেখান থেকে ডান দিকের গলি ধরে এগলেই পুকুরের সামনে একতলা হালকা নীল রঙা ছোট্ট একটা বাড়িতে চলছিল ইন্ডোর দৃশ্যগ্রহণ।
এরপর শটের ফাঁকে একবার বাইরে চেয়ারে এসে বসলেন অভিষেক। মুখে মাস্ক। সম্প্রতি করোনা মুক্ত হয়েছেন বলেই যেন একটু বেশি সাবধানী তাঁর পদক্ষেপ। ছবির পরিচালকের সঙ্গে পরবর্তী দৃশ্যের জন্য চিত্রনাট্য নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা করলেন। চিত্র সাংবাদিকদের ঠেকাতে তখন ইউনিটের তরফে অভিষেককে কালো কাপড়ে আড়াল করার চেষ্টা চলছে। এদিকে শট শেষ করে রাস্তা ধরে এগিয়ে এলেন ছবির অভিনেত্রী চিত্রাঙ্গদা সিং। পরনে লাল রঙের লং ফ্রক। সহকারীর ছাতার তোয়াক্কা না করেই ভ্যানিটি ভ্যানের দিকে এগিয়ে চললেন তিনি।
কিছুক্ষণের বিরতি। আবার ইউনিটে তৎপরতা দেখা গেল। গলির মুখ থেকে জুনিয়র বচ্চন বেরিয়ে আসছেন। চিত্রসাংবাদিকরা তাঁর নাম ধরে ডাকলেও অভিষেকের সাবধানী পদক্ষেপ। ক্যামেরা এড়াতে চলে গেলেন ছাতার নীচে। ইউনিটে তখন লাঞ্চ ব্রেক।
দু’দিন আগেই শহরে এসে পৌঁছেছেন অভিষেক। জানা গেল এইদিন মধ্য কলকাতার হোটেল থেকে সাড়ে সাতটায় বেরিয়ে সোজা শ্যুটিং লোকেশনে চলে আসেন তিনি। সুজয়ের সঙ্গে মিটিং করেই তারপর মেকআপের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন জুনিয়র বচ্চন। তারপর কলটাইম মেনেই শুরু হয় শ্যুটিং। সূত্রের খবর, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত কলকাতা শহরের বিভিন্ন লোকেশনে ছবির শ্যুটিং সারবে টিম ‘বব বিশ্বাস’। বাগবাজার, ময়দান ছাড়াও পাটুলিতে হবে শ্যুটিং।