পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কেরিয়ারের শুরু কীভাবে?
আমার পরিবারে কেউ বিনোদন জগতের সঙ্গে যুক্ত নন। ইচ্ছে ছিল, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হব। ছোটবেলায় নাচ শিখেছি। তখন ৮ বছর বয়স। নাচের স্কুলে একদিন পরিচালক রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা স্যার এলেন অডিশন নেওয়ার জন্য। একটা মিউজিক ভিডিওর শ্যুটিংয়ের জন্য উনি সুযোগ দিলেন। গত ১৪ বছর আমি মুম্বইতে। তবে কলকাতায় আত্মীয়-স্বজন থাকেন। সময় পেলেই কলকাতায় যাই। আমার প্রথম টেলিভিশন শো ছিল জিটিভিতেই, ‘ইয়াহা ম্যায় ঘর ঘর খেলি’।
কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে চেয়েছিলেন। আর হলেন অভিনেত্রী!
প্রায় ৯ বছর হয়ে গেল ইন্ডাস্ট্রিতে। অভিনেত্রীর জীবন ভালোই লাগছে। টেলিভিশন শো, বিজ্ঞাপনের কাজ সবই করেছি। নিজেকে ঈশ্বরের আশীর্বাদধন্য বলে মনে হয়। অভিনয় জীবনে সব সময় ভিন্ন ভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিতে হয়। এই নতুন ধারাবাহিকে যেমন রানি চরিত্রটার জন্য খুবই উত্তেজনা অনুভব করছি।
ইন্টারনেট দেখাচ্ছে আপনি ভারতীয় টেলিভিশনের ‘হায়েস্ট পেড অ্যাক্ট্রেস’। সত্যি নাকি?
(হাসি) আমি সত্যিই জানি না। তবে আমার কাছে টাকার চেয়েও ভালো কনটেন্ট, ভালো শোয়ের দাম অনেক বেশি। কিছুদিন হল ইনস্টাগ্রামে আমার ফলোয়ারের সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়েছে। অনুরাগীরা আমার নতুন কাজের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এই ধারাবাহিকের প্রোমো আসার পর অনেকেই অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
বাংলা নিশ্চয়ই বলতে পারেন। বাংলায় কাজ করার ইচ্ছে নেই?
একদম। আমি বাংলায় কাজ করতে চাই। আমার ভক্তরাও চায়, যে আমি ওখানে কোনও প্রজেক্ট করি। আমিও অপেক্ষা করছি। লকডাউনের সময় বাড়িতে বসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন অর্থাৎ ২৫ বৈশাখ আমার ইউটিউব চ্যানেলে একটা ভিডিও পোস্ট করেছিলাম। সম্রাট বলে একজন গান গেয়েছিলেন। খুবই প্রশংসা পেয়েছিল মিউজিক ভিডিওটি।
৯ বছর বাদে আবার জি-র সঙ্গে কাজ । ‘আপনা টাইম ভি আয়েগা’তে আপনার চরিত্রটা কীরকম?
ন্যারেশন শোনার পর মনে হয়েছিল, এরকম চরিত্র তো আগে করিনি কখনও। চরিত্রটা আমার ব্যক্তিগত জীবন থেকে একেবারেই আলাদা। রানি বিহারের গ্রামের মেয়ে। আমি ছোটবেলা থেকে মুম্বইয়ের মতো শহরে বড় হয়েছি। আমার থেকে একেবারেই উল্টো রানি।
শ্যুটিং শুরু হয়ে গিয়েছে। কতটা সাবধানতা অবলম্বন করতে হচ্ছে?
আমাদের প্রযোজনা সংস্থা শ্যুটিংয়ের সময় সকলের খেয়াল রাখছে। প্রতিদিন দেহের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। প্রত্যেকের আলাদা নাম লেখা চেয়ার রয়েছে। আমার মনে হয়, এই অতিমারী থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের দেশের মানুষ পরিবেশের প্রতি আরও বেশি সদয় হবেন। প্রায় ছয় মাস নিজের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটালাম। এরকম সুযোগ তো পাওয়া যায় না। তারপর শ্যুটিংয়ে ফিরে এখন আরও ভালো লাগছে।