পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ছবি মুক্তির ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সিনেমা হলের রক্ষণাবেক্ষণ। তাই অনেকেই মনে করছেন আগামী ১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার সিনেমা হল খুললেও স্যানিটাইজেশন এবং মেরামতির জন্য দিন দশেক সময় প্রয়োজন। তাই ২ অক্টোবর শুক্রবার বাংলায় কোনও ছবি মুক্তি পাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনেমা হল মালিকের কথায়, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত সরকারের তরফে পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন পাওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ বেশিরভাগ সিনেমা হলই হয়তো খুলবে না।’ অন্যান্য বছর পুজোর সময় ৬-৭ টা ছবি মুক্তি পায়। কিন্তু এই বছর করোনা পরিস্থিতিতে ছবি মুক্তির সংখ্যাটা কমতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। বোঝাই যাচ্ছে, এই বছর পুজোয় হয়তো মেরেকেটে ৩ থেকে ৪ টি ছবি মুক্তি পেতে পারে। কারণ, নতুন নিয়মে প্রতি শোয়ে দর্শক সংখ্যা কমলে সিনেমার টিকিটের দাম নিয়ন্ত্রণ একটা বড় সমস্যা। তৈরি ছবিগুলোর মধ্যে কয়েকটিকে আবার অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে রিলিজ করে প্রাক পুজোর বাজার ধরতে আগ্রহী হতে পারেন অনেক প্রযোজক-পরিচালক।
প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ অনেক আগেই ঘোষণা করেছিল যে তারা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’ ছবিটি পুজোয় রিলিজ করবে। কিন্তু প্রতিবছর পুজোতে সাধারণত তারা একাধিক ছবি রিলিজ করে। তাই এই বছর সেই বাকি ছবির তালিকায় মিমি চক্রবর্তী ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য অভিনীত ‘ড্রাকুলা স্যার’ বা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ‘প্রেম টেম’ থাকবে কিনা তা এখনই স্পষ্ট নয়। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখন তারা নেয়নি। সংস্থার অন্যতম কর্ণধার মহেন্দ্র সোনি বললেন, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা হল খোলার পক্ষপাতী। কিন্তু তার আগে আমরা ডিটেল গাইডলাইন এবং সুরক্ষাবিধির অপেক্ষায় রয়েছি।’ অন্যদিকে সুরিন্দর ফিল্মস এর ঘরে বেশ কিছু ছবি তৈরি। তালিকাটাও দীর্ঘ। ভাঁড়ারে রয়েছে ‘রক্তরহস্য’, ‘টেনিদা অ্যান্ড কোম্পানি’ ও ‘বনি’। পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শেষ হলে এর মধ্যে কোনও একটি ছবি পুজোর আগেই তারা হলে নিয়ে আসতে পারেন বলে খবর।
লকডাউনের জন্যই দেবের প্রযোজনা সংস্থার ‘হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী’ ছবিটির মুক্তি আটকে গিয়েছিল। কিন্তু প্রযোজনা সংস্থার তরফে রবিবার স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, যে এই ছবি তাঁরা পুজোয় রিলিজ করতে চাইছেন না। অন্যদিকে জিতের প্রযোজনা সংস্থার তরফে আবির চট্টোপাধ্যায় ও রুক্মিণী মৈত্র অভিনীত ‘সুইজারল্যান্ড’ ছবিটি তৈরি। এই ছবি পুজোয় রিলিজ করে জিৎ চমক সৃষ্টি করবেন কিনা তা সময় বলবে। দুই সাংসদ মিমি চক্রবর্তী ও নুসরত জাহান এবং অভিনেতা যশ অভিনীত ‘এসওএস কলকাতা’ পুজোতেই মুক্তি পাচ্ছে বলে জানা গিয়েছিল। আবির ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে নিয়ে অরিন্দম শীলের ‘মায়াকুমারী’ ছবিটিরও পুজোয় মুক্তি নিশ্চিত। সিনেমা হল খুললে ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’ প্রেক্ষাগৃহে রি-রিলিজ করতে চেয়েছিলেন প্রযোজনা সংস্থা উইন্ডোজ-এর অন্যতম কর্ণধার শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। পাশাপাশি তাঁদের হাতে তৈরি ছবির মধ্যে রয়েছে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত ‘লক্ষ্মীছেলে’। সঙ্গে রয়েছে ‘বেলাশুরু’।
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বায়োপিকের শ্যুটিং সম্প্রতি শেষ হয়েছে। তবে এই ছবির পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ এখনও বাকি। রাজ চক্রবর্তীর প্রযোজনা সংস্থার তরফে ‘ধর্মযুদ্ধ’ ছবিটির সেন্সর হয়ে গিয়েছে। তৈরি হয়ে রয়েছে ‘হাবজি গাবজি’। অন্যদিকে রাজা চন্দ্র পরিচালিত ‘ম্যাজিক’-এর শ্যুটিংও শেষ। অঙ্কুশ ও ঐন্দ্রিলা জুটির এই ছবি পুজোয় মুক্তি পাবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। অঙ্কুশ ও নুসরত ফারিয়াকে নিয়ে রাজার ‘ভয়’ ছবিটিও মুক্তির অপেক্ষায়। প্রযোজনা সংস্থা গ্রিনটাচ এন্টারটেনমেন্টের তরফেও অঞ্জন দত্ত পরিচালিত ‘সাহেবের কাটলেট’ এবং বনি-কৌশানী অভিনীত ‘বিয়ে ডট কম’ ছবি দুটোর পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।
তবে, সিনেমা হল খুললেই পর পর ছবি মুক্তিতে নারাজ টলিপাড়ার অনেকেই। প্রত্যেকেই পুজোর আগে আগাম পিচ রিপোর্ট দেখে তারপর ইনিংস শুরু করার পক্ষপাতী।