কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
পরিচালক তিগমাংশু ধুলিয়ার এই ছবিতে বড় মাপের কোনও স্টার নেই। চিত্রনাট্যও আহামরি নয়। তবুও বন্ধুত্বের এই গল্প দর্শকদের মন ছুঁয়ে যায়। ছোটবেলায় বাপ-মা হারা চার বন্ধুর একজোট হয়ে জীবন সংগ্রামের লড়াইকে সুন্দরভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক। বাড়তি পাওনা হিসেবে রয়েছে নেপালের একাধিক লোকেশন। ছবিতে অধিকাংশ সিনই ফ্ল্যাশব্যাকে। কিন্তু অতীত-বর্তমানের এই মিশেলে সম্পাদনায় নৈপুণ্যের ছাপ রয়েছে। মাদকপাচার-ডাকাতি-নকশাল-অস্ত্রসরবরাহ-ধোঁকা-প্রেমের মতো মশলা বন্ধুত্বের মোড়কে পরিবেশন করায় তা বেশ উপভোগ্য। দলনেতা হিসেবে দারুণ মানিয়েছে ‘কম্যান্ডো’ খ্যাত বিদ্যুৎ জামালকে। বয়স্ক লুকেও তিনি সসম্মানে উত্তীর্ণ। ধীরে ধীরে ওটিটি দুনিয়ায় নিজের আসন পাকা করে ফেলছেন ‘গালি বয়’র বিজয় ভার্মা। ‘পিঙ্ক’, ‘শী’-তে হাতপাকানো ভিলেন, এই ছবিতেও দুষ্কৃতী। কিন্তু জীবনের সেরা সময়েও এক লহমায় সব ছেড়ে বন্ধুকে বাঁচানোর প্রয়াস বিজয়ের খলনায়করূপী চরিত্রের সমস্ত পাপ মোচন করে। দুর্দান্ত অভিনয়, কমিক রিলিফে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। চকড়ি গ্যাংয়ের বাকি সদস্য অমিত এবং কেনিও যোগ্যসঙ্গত দিয়েছেন। চার বন্ধুর চোখ ধাঁধানো অভিনয়ে কিছুটা পিছনে পড়ে গেলেও ভালো অভিনয় করেছেন শ্রুতি হাসানও। নকশাল আন্দোলনের নেত্রী হিসেবে তাঁকে বেশ মানিয়েছে। ফ্ল্যাশব্যাকের বহু দৃশ্যে শ্রুতি ডেয়ারডেভিল। অথচ পরে তাঁকে সেভাবে ব্যবহারই করা হয়নি। যার কোনও যৌক্তিকতা নেই। স্বল্প দৃশ্যে অভিনয় করেও নজর কেড়েছেন সঞ্জয় মিশ্র। চিত্রনাট্যের ধাঁচ পুরনো হলেও মূলত বন্ধুত্বের মেলবন্ধনের জোরেই বাজিমাত করার চেষ্টা করেছেন পরিচালক। শেষে রয়েছে একটি ট্যুইস্টও। যা কিছুটা অনুমেয় হলেও দর্শক কিন্তু মোটেই হতাশ হবেন না।