পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত রবিবার একতা কাপুরের প্রযোজনা সংস্থার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কসৌটি জিন্দেগি কে-২’-এর অভিনেতা পার্থ সামথানের করোনা ধরা পড়ে। ধারাবাহিকটির মুখ্য চরিত্র অনুরাগ বসুর ভূমিকায় তিনি অভিনয় করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পার্থ নিজেই তাঁর কোভিড পজিটিভ হওয়ার খবর জানিয়েছেন। পাশাপাশি, গত কয়েকদিনে যাঁরা তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদেরও পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। এখন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন এই অভিনেতা। এ প্রসঙ্গে প্রযোজক একতা কাপুরের বক্তব্য, ‘সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। নিয়মাবলী মেনে চলা হচ্ছে। আমাদের সংস্থা বালাজিতে সব সময় কলাকুশলীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। সকলে ভালো থাকুন। জয় মাতাদি।’
এদিকে পর্দার অনুরাগের করোনার জেরে আগামী তিন দিনের জন্য এই ধারাবাহিকের শ্যুটিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পার্থর সহ-অভিনেতা করণ প্যাটেল এবং তাঁর পরিবারের লোকেরাও করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন। যদিও বেশ কিছু সূত্র থেকে দাবি করা হচ্ছে, কয়েকদিন ধরেই নাকি পার্থ শ্যুটিংয়ে আসছিলেন না।
তবে, সমস্যার তো এখানেই শেষ নয়! যে স্টুডিওতে ‘কসৌটি জিন্দেগি কে-২’-এর শ্যুট হতো সেই একই স্টুডিওতে ‘কুমকুম ভাগ্য’, কুণ্ডলী ভাগ্য’ এবং ‘পবিত্র ভাগ্য’ এই তিন ধারাবাহিকেরও শ্যুটিং হতো। পার্থ করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর আসতে না আসতেই ওই ধারাবাহিকগুলির শ্যুটিংও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, এ রাজ্যের দিকে তাকালে টলিপাড়ার পরিস্থিতি কিন্তু এখনও পর্যন্ত অনেকটাই ভালো। শ্যুটিং শুরু হওয়া নিয়ে প্রথমদিকে মতানৈক্য দেখা দিলেও এখন প্রত্যেকেই সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শ্যুটিং করছেন। আর সেই কারণেই এক মাস শ্যুটিং হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কোনও রকম দুঃসংবাদ আসেনি। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে দাঁড়িয়ে শ্যুটিং শুরু করা নিয়ে মিটিংয়ের শেষে বলেছিলেন, ‘দেশকে পথ দেখাবে বাংলা।’ আপাতত সেই লাইনেই রয়েছে টালিগঞ্জ। আর এই সচেতনতার জন্য টলিপাড়ার কলাকুশলী এবং অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বাহবা অবশ্যই প্রাপ্য।