বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
‘রিফিউজি’ ছবিতে তাঁর প্রথম আত্মপ্রকাশ। বিপরীতে ছিলেন জুনিয়র বচ্চন। প্রথম ছবিই ফ্লপ। তবু বলিউডে টিঁকে গেলেন বেবো। শুধু টিঁকেই গেলেন না, একেবারে রমরমা ব্যবসা দিলেন তিনি বলিউডকে। ‘কভি খুশি কভি গম’, ‘হেরোইন’, ‘জব উই মেট’, ‘আংরেজি মিডিয়াম’, ‘থ্রি ইডিয়েটস’, ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সহ কত হিট ছবির যে তিনি নায়িকা, তা হাতে গুনে শেষ করা যাবে না। ভক্তের সংখ্যাও অগণিত। তাঁরা সবাই অভিনন্দন জানিয়েছেন করিনাকে বলিউডে তাঁর উল্লেখযোগ্য উপস্থিতির জন্য। তবু একবারও জুনিয়র বচ্চনের নামটা উঠে এল না। তাতে অবশ্য অভিষেকের আলাদা করে কোনও দুঃখ নেই। তিনি বলছেন, অনেক সময় আড়ালে থেকেও বড় কাজ করা যায়। সবাই তো আর প্রথম সারিতে বসে না। ক্লাসে লাস্ট বেঞ্চের ছাত্রদেরও গুরুত্ব আছে।
আর করিনা? তিনি কী বলেছেন এই দুই দশকের অভিনয় জীবন ও সহ-অভিনেতাদের সম্পর্কে? সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, তিনি অভিভূত। দর্শক এবং অন্যান্য অভিনেতা ও পরিচালকদের ভালোবাসায় তিনি ভেসে গিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁর স্বামী ও পুত্রের কথাও বলেছেন করিনা। বলেছেন, পরিবারের সমর্থন আর স্বামীর ভালোবাসা ছাড়া এই দীর্ঘ পথ তিনি চলতে পারতেন না। তৈমুর তাঁর সব চেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। ছেলের ওই কচি মুখটা নাকি তাঁকে আরও ভালো অভিনয় করতে উদ্বুদ্ধ করে।
করিনার তো ভক্তকুল আকাশ ছোঁয়া। কিন্তু নিজে কার ভক্ত তিনি? বললেন, ‘ভক্ত হতে হলে বলিউডের বাদশার হওয়াই ভালো।’ ঠিক ধরেছেন, শাহরুখ খানের বিরাট ফ্যান করিনা কাপুর খান। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, বলিউডের তিন খানের মধ্যে শাহরুখ তাঁর সবচেয়ে প্রিয়, তারপর আমির। কিন্তু সলমন খানকে বিশেষ পছন্দ করেন না তিনি। তবুও ভাইজানের সঙ্গে তো বিভিন্ন ছবিতে কাজ করেছেন করিনা। এমন প্রশ্নের উত্তরে করিনার সাফ জবাব, কাজের খাতিরে অনেক কিছুই করতে হয়।
আর অভিষেক বচ্চন? তাঁর ব্যাপারে করিনার কি বক্তব্য? ‘অভিষেক আমার খুব ভালো বন্ধু। ছোট থেকে আমরা একসঙ্গেই প্রায় বড় হয়েছি যে।’ বললেন নায়িকা। নায়ক হিসেবে কেমন লাগে তাঁকে? প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে করিনা বলেছেন, ছোটবেলার বন্ধুর আবার খারাপ-ভালো হয় নাকি?
— বিবিবাবু