সোহম কর: গত শনিবার একটি নির্দেশিকাতে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, আজ অর্থাৎ পয়লা জুন থেকে ৩৫ জনের ইউনিট নিয়ে সিরিয়াল, সিনেমা ও ওয়েব সিরিজের শ্যুটিং শুরু করা যাবে। এর পরেই খুশির হাওয়া টলিপাড়াতে। কিন্তু প্রয়োজনীয় অনুমতি মেলার পর একদিনের ব্যবধানে হঠাৎ করে শ্যুটিং শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না বলেই খবর। আর্টিস্ট ফোরামের তরফে শংকর চক্রবর্তী বললেন, ‘আগামী ২ জুন আর্টিস্ট ফোরাম, চ্যানেল, ফেডারেশন, প্রযোজকরা মিটিংয়ে বসছে। তারপর ৪ তারিখ মন্ত্রীর সঙ্গে মিটিং রয়েছে। সেইখানে গাইডলাইন নিয়ে আলোচনা করা হবে। সেই মিটিংয়ের আগে শ্যুটিং শুরুর বিষয়ে কিছুই বলা যাবে না। আর কন্টেনমেন্ট জোনের বাইরে শ্যুটিংয়ের অনুমতি তো ২১ মে-ই এসেছিল।’ তবে, শ্যুটিং শুরুর সবুজ সংকেত পাওয়াতে খানিকটা হলেও স্বস্তি পাওয়া গিয়েছে বলেই মনে করছেন তিনি।
‘করুণাময়ী রানি রাসমণি’ ধারাবাহিকের নামচরিত্রের অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়ের গলায় ধন্দের সুর। তিনি বলছিলেন, ‘আমাদের এখনও অফিশিয়ালি কলটাইম জানানো হয়নি। এর ফলে টেকনিশিয়ানদের কাজ হল ঠিকই কিন্তু একটা ইউনিটে ৭০-৮০ জন থাকেন, এখন সংখ্যাটা কমে ৩৫ জন হয়েছে। এর ফলে কি অনেকের কাজ চলে যাবে?’ মাস্ক পরে তো আর অভিনয় করা যাবে না কিংবা স্পর্শ না করে মেকআপ কিংবা চুল কীভাবে বাঁধা যাবে? এই বিষয়গুলো নিয়েও বেশ চিন্তায় রয়েছেন দিতিপ্রিয়া। একই সুরে গলা মেলালেন ‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকের অভিনেত্রী পল্লবী শর্মা। তাঁর কথায়, ‘শ্যুটিং শুরু হওয়া তো খুবই আনন্দের খবর। তার সঙ্গে ঝুঁকিও রয়েছে। আশা করি, এমন কিছু নিয়ম হবে, যেটা সবার পক্ষেই ভালো হবে।’ আকাশ আট চ্যানেলের তরফে জানানো হয়েছে, ৩৫ জন নিয়ে কাজ করা সত্যিই কঠিন। কিন্তু তাদের শ্যুটিং শুরু হলে, অবশ্যই সমস্ত রকম সরকারি গাইডলাইন মেনে কাজ করা হবে।
ওদিকে ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার অ্যান্ড কালচারাল কনফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সংঘমিত্রা চৌধুরী রাজ্য সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘আমরা কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে ১ জুন থেকে শ্যুটিং শুরু করার অনুমতি চেয়েছিলাম। অবশ্য, তার কোনও উত্তর পাইনি। এই নির্দেশিকার পরে আমরা মনে করছি, এটা আমাদের নৈতিক জয়।’