স্বাস্থ্য বেশ ভালোই থাকবে। আর্থিক দিকটিও ভালো। সঞ্চয় খুব ভালো না হলেও উপার্জন ভালো হবে। ... বিশদ
জঙ্গলের মধ্যে জাতীয় সড়ক তৈরির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বেতাল পাহাড়ের নীচের বহুদিন বন্ধ হয়ে থাকা একটি সুড়ঙ্গ পথ। সিআইপিডি শীর্ষক কমান্ডো বাহিনীর উপর রাস্তা সাফ করার দায়িত্ব বর্তালে স্থানীয় গ্রামবাসীরা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাঁদের বিশ্বাস, সুড়ঙ্গ খুললে এক মারাত্মক অভিশাপ নেমে আসবে, যা সকলের পক্ষেই বিপজ্জনক। কিন্তু সেই সতর্কবাণীকে পাত্তা না দিয়েই গ্রামবাসীদের থেঁতো করে সরকারি ঠিকাদার (জিতেন্দ্র জোশি) কাজ হাসিল করতে উদ্যোগী হয়। কমান্ডার ত্যাগী (সুচিত্রা পিল্লাই) ও বিক্রম সিরোহির (বিনীত কুমার) নেতৃত্বে সুড়ঙ্গ খোলা হলে হাজির হয় দুর্ধর্ষ ব্রিটিশ জম্বি সেনা অর্থাৎ মৃত সৈন্যদল। তাদের নেতৃত্বে কর্নেল লেনডক। তারপর চলে টিকে থাকার লড়াই। স্পেশাল ফোর্সের সঙ্গে জম্বির লড়াই কোন দিকে এগল তা নিয়েই এই সিরিজ।
সত্যি বলতে প্রথম এপিসোডে যতটা কৌতূহল বজায় রেখে গল্প বলা শুরু হয় তা পরবর্তী এপিসোডগুলোয় নেই বললেই চলে। অতীতের অভিশাপ, বশীকরণ, শহর বনাম গ্রামের কুসংস্কারের লড়াই, ভয়ানক সব জম্বি, সংক্রমিতদের জম্বিতে রূপান্তর— এই সবই চেনা ছকে বাঁধা। তাই গল্পের পরিণতিও দর্শকের বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। আসলে এই ধরনের গল্পে চমক ও ভয় আবশ্যিক। কিন্তু চিত্রনাট্যে সেটাই যেন নেই। চরিত্রগুলোর উপর সেইভাবে নজর দেওয়া হয়নি। সিরোহির চরিত্রে বিনীত কুমার সাধ্য মতো চেষ্টা করেছেন। চিত্রনাট্যের কারণেই ‘সেক্রেড গেমস’ খ্যাত জিতেন্দ্র যোশির অভিনয় মাঠে মারা গিয়েছে। সুচিত্রা বা অহনা কুমরার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। বরং আদিবাসী পুনিয়ার চরিত্রে মঞ্জিরী পুপালা কিছু দৃশ্যে ছক্কা হাঁকিয়েছেন। সিরিজের আবহসঙ্গীত মানানসই। রয়েছে সিক্যুয়েলের ইঙ্গিতও। তবে জম্বিদের ক্ষেত্রে প্রস্থেটিক মেকআপ যতটা ভালো অভিনেতারা ততটাই খারাপ। গল্পের থিমের সঙ্গে সাম্প্রতিক ‘টুম্বাদ’ ছবির সাদৃশ্য থাকলেও এই সিরিজ তার ধারে কাছে নেই। তবে, ওই যে মন্দের ভালো মাত্র চারটে এপিসোডে বিষয়টি সীমাবদ্ধ। তাই খারাপ ভালোর বিচার করার আগেই গল্প শেষ হয়ে যাবে। আর লকডাউনের সময় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রতিনিয়ত নতুন কনটেন্টের খোঁজে ব্যস্ত দর্শক এটুকু ডেটা খরচ করতেই পারেন!