বাংলার আকাশে আজ কালো মেঘ। করোনা ভাইরাসের থাবার সঙ্গে এবার উম-পুন। বাংলার বিস্তীর্ণ এলাকার বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলেন এক ঝাঁক শিল্পী। তাঁদের এই উদ্যোগের নাম ‘অল ফর বেঙ্গল’। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে তহবিল তৈরি করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সামনের মাসে কলকাতার শিল্পীরা একত্র হয়ে একটি অনলাইন কনসার্টের উদ্যোগও নিয়ে ফেলেছেন। সমস্ত শিল্পীদের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের কাজটি করছেন ‘ফসিলস’ ব্যান্ডের ম্যানেজার রূপসা দাশগুপ্ত এবং ই৩৬৫-এর কর্ণধার কিঞ্জল ভট্টাচার্য।
রূপসা বলছিলেন, ‘এই মুহূর্তে অনেকের বাড়িতেই ইন্টারনেট পরিষেবা সচল হয়নি। আমরা আস্তে আস্তে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। অনেকেই রাজি হয়েছেন।’ আপাতত সেই নামের তালিকায় রয়েছেন— অনুপম রায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, রূপঙ্কর, লোপামুদ্রা মিত্র, রুদ্রনীল ঘোষ, ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়, অঞ্জন দত্ত, নীল দত্ত, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় (চন্দ্রবিন্দু), গৌরব চট্টোপাধ্যায়(লক্ষ্মীছাড়া), ফসিলস, রঞ্জন প্রসাদ, বিক্রম ঘোষ, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, ময়ূখ ভৌমিক, মীর, মনোময়, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, পূর্বায়ন চট্টোপাধ্যায়, রাতুল শঙ্কর, সিধু, পটা, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, শ্রীকান্ত আচার্য, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, স্বপন বসু, সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তন্ময় বোস, ইন্দ্রনীল সেন প্রমুখ। ‘আমাদের এই তহবিল থেকে উম-পুনে ক্ষতিগ্রস্তদের যেমন সাহায্য করা হবে, তেমনই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ইন্ডাস্ট্রির দিন আনি দিন খাই মানুষ, যাঁরা স্টেজ-লাইট আরও নানা রকম কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাঁদের দিকেও বাড়িয়ে দেওয়া হবে সাহায্যের হাত। প্রাথমিকভাবে করোনার সময় ইভেন্ট ইন্ডাস্ট্রির মানুষদের জন্যই এই রকম একটা উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল। তার মধ্যেই এল এই ঘূর্ণিঝড়। এছাড়াও আমরা যদি তহবিলের পরিমাণ বাড়াতে পারি, সেক্ষেত্রে ভারত সেবাশ্রম সংঘের হাতেও ত্রাণের জন্য সাহায্য দিতে চাই,’ বলছিলেন রূপসা।