কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ছবির কাহিনী দাঁড়িয়ে রয়েছে এক সন্ন্যাসিনীর দুটি স্বীকারোক্তির ওপর। তারই জীবনের দুটি ঘটনা-একটা দিনের, অন্যটা রাতের। বাঙালি মেয়ে অরুণিমা নাসায় চাকরি পায়। হঠাৎ একদিন নিরুদ্দেশ হয় সে। সাতদিন পরে একটা ফোন কল এবং একদল লোকের বাড়িতে আগমন। তাদের অদ্ভুত কথাবার্তা থেকে জানা যায় অরুণিমা মঙ্গল অভিযানে গিয়েছে। কেন এই গোপন অভিযান? এরপরের চমক উহ্যই থাক।
অরুণিমার চরিত্রে রয়েছেন মিনার্ভা রেপার্টরির প্রাক্তন সদস্যা রায়তী ভট্টাচার্য। অডিশন দিয়ে নির্বাচিত হওয়ার পর দু’মাস ধরে মূকাভিনয় শিখেছেন। তাঁর কথায়, ‘তিন মাস কোমরে হার্নেস বেঁধে ঝুলে থাকা অভ্যাস করেছি। জিরো গ্র্যাভিটিতে যেভাবে হাত পায়ের মুভমেন্ট করতে হয় সেটা রপ্ত করেছি। আট দশ ঘণ্টা ঝুলে ঝুলে অভিনয় করা, সংলাপ বলা-সত্যি কঠিন ছিল।’ গল্পের অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন প্রদীপ মুখোপাধ্যায়, রুমকি চট্টোপাধ্যায়, সৌরভ চক্রবর্তী, দেবেশ রায়চৌধুরী প্রমুখ।
দ্বিতীয় গল্পে এক বৃষ্টির রাতে সন্ন্যাসিনী সুজানের সঙ্গে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির দেখা হয়। বিপদে পড়া সুজানকে বাড়িতে আশ্রয় দেয় সে। কিন্তু অস্বস্তিতে পড়ে সুজান। কারণ মানুষটি মৃত্যু বিলাসী। কে সে? এই গল্পের কাণ্ডারি রজতাভ দত্ত। বলছেন, ‘চরিত্রটা খুব লোভনীয়। আমার দায়িত্ব ছিল চরিত্রটাকে রহস্যময় ও অস্বস্তিকর করে গড়ে তোলা।’ ‘দিন রাত্রির গল্প’-এর যোগসূত্র সন্ন্যাসিনী সুজান। অভিনয় করেছেন সুপ্রীতি চৌধুরী, যিনি আবার এই ছবির প্রযোজকও। ‘সুজানের অল্প বয়সের দুটো ঘটনা নিয়েই ছবি। এখানে ভিএফ এক্সের কাজটাই আসল’, বললেন সুপ্রীতি।
বাঙালি দর্শক সাসপেন্স থ্রিলারে অভ্যস্ত হলেও এধরনের সাসপেন্সে মোড়া স্পেস ফিকশন তাঁদের কাছে নতুন। এমন ছবি দর্শক দেখবেন? ‘চলচ্চিত্র উৎসবে দর্শক সমালোচকদের চুলচেরা বিশ্লেষণে ছবিটা উত্তীর্ণ। এখন বিষয়ভিত্তিক ছবি চলছে। আমি নিজেও থ্রিলার, সায়েন্স ফিকশন দেখতে পছন্দ করি। তাছাড়া আমরা যদি বিদেশি ওয়েব সিরিজ সাব টাইটেল সহযোগে দেখতে পারি তাহলে এই ছবিটাও দর্শক দেখবেন’, আশাবাদী রজতাভ।