কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পারিবারিক গল্প দিয়ে শুরু। পরিবারে বাবা-মা, ভাই-বোন সবাই রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে অনটন, বেকারত্ব। তার ফলে, শ্রেণী শত্রুদের চিনে নিতে বেশি সময়ও লাগে না। কিন্তু এই গোটা বিষয়টা পরিচালক বং জুন হো যেভাবে সিনেম্যাটিক রাংতা দিয়ে মুড়েছেন, এক কথায় তা অসাধারণ। এক কথায় বলে দেওয়ার কারণ একটাই, যে গভীর চিন্তন প্রতিটি ফ্রেমের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে তার কতটুকু নির্যাস নেওয়া যায় সত্যিই জানা নেই। এক্ষেত্রে অভিনয় নিয়ে কথা বলা নিষ্প্রয়োজন। ছোট ছোট বিষয়গুলো যেমন, আমেরিকার মতো প্রথম বিশ্বের ক্ষমতাশালী দেশের উত্পাদিত যা কিছু চোখ বুজে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা পায়। আবার কাচের দেওয়ালের ভিতর থেকে বৃষ্টির সৌন্দর্য এঁদো গলিকে গিলতে আসে। কিন্তু প্রান্তিক মানুষ তখন পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে সিগারেট ধরায়। এই রূপকগুলোর উপর ‘প্যারাসাইট’ ভরসা রেখেছে। তারপর ক্যাপিটালিজমের দাঁত-নখ একটা সময় বেরিয়ে আসে। প্রান্তিক মানুষদের বর্ণনায় তাদের শব্দচয়ন শুনে গা গুলিয়ে ওঠে। পুরো ছবিটার মধ্যে পরিচালক থ্রিলারের নুন ছিটিয়েছেন। চরম রাজনৈতিক এই ছবির প্রতিটা চরিত্রকে আমরা চিনি। প্রতিদিন, প্রতিটা মুহূর্তে তাদের চিন্তাধারা, কাজকর্ম, খাওয়া দাওয়া এমনকী তাদের আইডেন্টিটিও এক শ্রেণী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সেই নিয়ন্ত্রণটা কোথাও গিয়ে যেন গলা টিপে ধরে। যার অন্তিম পরিণতি আমরা ছবির শেষে প্রত্যক্ষ করি।