সোহম কর: এই বিদ্রোহ আর বিপ্লবের পৃথিবীতে প্রেমিক-প্রেমিকাদের বেশ অনেকটা সময় একসঙ্গে কাটানোর সুযোগ করে দিয়েছেন পরিচালক ইমতিয়াজ আলি। আর কী করেছেন? একটা নয় দু’খানা দুর্নিবার প্রেমের কাহিনী দেখিয়েছেন তিনি। ছবির নাম ‘লাভ আজ কাল’ কেন? কারণ, ব্যাকড্রপে ১৯৯০ সালের একটি অপূর্ণ প্রেম কাহিনী দেখিয়েছেন। যখন কেরিয়ার, বাড়ি সব ছেড়ে দিয়ে প্রেমিক ভালোবাসার আকর্ষণে দৌড়ে যেত। তারপর কালের নিয়মে কিংবা বদলে যাওয়া প্রেক্ষাপটে অনিবার্য ‘ব্রেক আপ’ হতো। তার সঙ্গে ২০২০ সালের একটি প্রেম কাহিনী দেখিয়েছেন ইমতিয়াজ। জো চৌহান (সারা আলি খান) জীবনটা নিজের মতো কাটাতে চায়। কেরিয়ার ছাড়া সে কিছু বোঝে না। ‘সিরিয়াস’ সম্পর্ক তার একেবারেই পছন্দ নয়। ঠিক তখনই ’৯০ সালের প্রেমিকের ভাবমূর্তি নিয়ে হাজির হয় বীর (কার্তিক আরিয়ান)। গোটা ছবিতে সে নায়িকার জন্য ক্যাফে, পাবের বাইরে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকল। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রণদীপ হুডা। ক্যাফের মালিক। নয়ের দশকের প্রেমের কাহিনীর হিরো সে। ছোটবেলার তাকে কার্তিকের মতো দেখতে ছিল। কাজেই কার্তিকের ডাবল রোল রয়েছে। সেই সময়ের প্রেমিকার চরিত্রে রয়েছেন আরুশি শর্মা। ক্যাফের মালিক জো-কে তার প্রথম জীবনের প্রেমের গল্প বলে। ধীরে ধীরে জোয়ের জীবনদর্শন বদলাতে থাকে। এখন এই বদলে যাওয়া জীবন দর্শনই ছবিকে শেষের দিকে নিয়ে যায়।
সাদামাটা গল্প। তেমন চিত্রনাট্য। ফ্ল্যাশব্যাকের কামড়ে ছবিটির দৈর্ঘ্য আড়াই ঘণ্টা ছুঁয়েছে। ফ্ল্যাশব্যাক এমনই যে, ২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘লাভ আজ কাল’ ছবির গাঢ় গন্ধ। দুই সময়ের সম্পর্কের ধরন নিয়ে তুলনামূলক আলোচনা করতে চেয়েছেন পরিচালক। আর সারা আলি খান যতই জিমের বাইরে দাঁড়িয়ে পোজ দিয়ে ছবি তুলুন না কেন! সেই দেখে ভারতীয় তরুণদের যতই হার্টবিট বেড়ে যাক না কেন! অভিনয় নিয়ে তাঁকে সমূহ পরিশ্রম করতে হবে। আর রইলেন কার্তিক আরিয়ান। তাঁর অভিনয়ও সাদামাটা। সেদিক থেকে দেখতে গেলে আরুশি শর্মা এবং রণদীপ হুডার অভিনয় বেশ ভালো। গোটা ছবিতে লিনেন শার্ট আর গোঁফে বেশ লেগেছে রণদীপকে। এমন একখানা প্রেমের ছবির মধ্যে সেই ‘এক্স ফ্যাক্টর’টাই নেই। যা কিছুদিন আগে ‘কবীর সিং’-এ দেখা গিয়েছিল। যার ফলে ছবি দেখে খুব একটা আনন্দ হবে না।