কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
জয়া ভারতীয় কবাডি দলের ক্যাপ্টেন ছিল। বিয়ের পর খেলা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছেও ছিল ষোলোআনা। কিন্তু সন্তান কমজোরি হওয়ায় তার পরিচর্যার কারণে, সে খেলা ছেড়ে দেয়। ছেলে চায় মা খেলায় ফিরুক। সাত বছরের ছেলে, বত্রিশ বছর বয়সি মাকে বাধ্য করে কামব্যাক করতে। সন্তানের স্বপ্ন, চারিয়ে যায় জয়ার মনে। নকল কামব্যাক-কামব্যাক খেলতে খেলতে সে ফিরে আসতে চায় কোর্টে। ব্যস! সবার আগে বাধার প্রাচীর খাড়া করে দেন জয়ার নিজের মা (নীনা গুপ্তা)। মেয়েকে সাফ জানিয়ে দেন, সংসার ফেলে মেয়ের কবাডি খেলায় ফিরে যাওয়াকে তিনি মোটেই সমর্থন করছেন না। এদিকে জয়ার স্বামী প্রশান্ত (জসসি গিল) গোড়ায় দোনামোনা করলেও, শাশুড়ির সামনে স্ত্রীকে সাপোর্ট করে। ছেলে আদি (যাজ্ঞ ভাসিন) মাকে কাকভোরে তুলে ছুটতে পাঠায়, কিটো ডায়েট প্ল্যান করতে বলে, এমনকী বাবার মুখে মায়ের খেলা ছেড়ে দেওয়ার কাহিনী শুনে সে বলে, আমার দায়িত্ব মায়ের একার কেন হল? তোমরা দু’জনে ভাগ করে নিতে পারতে তো? প্রশান্তের কাছে যথারীতি এই প্রশ্নের উত্তর ছিল না। যেমনটি আমাদের মধ্যবিত্ত সংসারের প্রায় কোনও পুরুষের কাছেই এই প্রশ্নের জবাব থাকে না, কেন সন্তানের সব দায়িত্ব মায়ের? কেন দুজনের মধ্যে ভাগাভাগি করে নয়!
জয়া আদির মুখ চেয়ে ফিরে যায় খেলায়। কলকাতায় চলে আসতে হয় তাকে। স্বামী ও সন্তান রয়ে যায় ভোপালে। এবার শুরু হয় আর এক লড়াই। এক মায়ের যুদ্ধ। সন্তানের স্বপ্ন পূরণ করতে, সন্তানের থেকে দূরে থাকার যন্ত্রণা নিয়ে জয়া ফিরে আসে। আমরা যারা চার দেওয়ালের বাইরে বেরতে পারিনি, আমরা যারা খেলার ময়দান বা গানের মঞ্চ কিংবা আরও যে কোনও বিচরণ-ক্ষেত্র থেকে রান্নাঘর, বাচ্চার হোমটাস্ক, অফিসের ডেড-লাইন, সংসারের বায়নাক্কা, দুবেলা খাওয়ার মেনু ঠিক করতে করতে আয়ু ও দক্ষতা ফুরিয়ে ফেলি, তারাও জেনে যাই-তাহলে সময় এখনও আছে। ততখানি দেরি হয়নি। মাঠ চওড়া হয়ে যাবেই যদি ইচ্ছের জোর থাকে। পাঙ্গা সেই রূপকথার গল্প বলে, যেখানে জয়ার সঙ্গে জিতে যায় প্রশান্তও। এখানে জয়ার সাফল্যে, তাদের দু’জনের সমান অংশীদারির কথা বলেছেন পরিচালক অশ্বিনী আইয়ার তিওয়ারি। পরিবার ও স্বামীর সমর্থন যে কতটা শক্তিশালী হতে পারে, তা চমৎকার তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে। কঙ্গনা খুব সামান্য মেকআপে অনন্যা। দুরন্ত অভিনয় করেছেন তিনি। নীনা গুপ্তা, জসসি গিল, রিচা চাড্ডাও বেশ ভালো। চিত্রনাট্যের কেরামতিতে ছবির শেষ-অর্ধ বেশি টানটান। সবশেষে বলতেই হয় মায়ের সঙ্গে পাঙ্গা না নেওয়াই ভালো-কেননা, কে না জানে, মা সব পারে!