কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
যে সময়কালকে এই ধারাবাহিকে তুলে ধরা হয়েছে, সেই সময় মহিলাদের কোনও বিষয়ে প্রশ্ন তোলা ছিল মানা। ছিল না নারী স্বাধীনতার ছিঁটেফোঁটাও। বরং বাল্যবিবাহ সমাজকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছিল। সেই দমবন্ধ করা পরিবেশে আট বছরের বন্দিতা যেন খোলা হওয়া। সে সমাজের জগদ্দল পাথরটাকে নড়ানোর জন্য প্রশ্ন করতে জানে।
ধারাবাহিকে বন্দিতার মা অর্থাৎ সুমতির চরিত্রে অভিনয় করছেন বঙ্গতনয়া আরিনা দে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক আরিনাকে একসময় দেখা গিয়েছিল ‘মুসকান’ ধারাবাহিকে। নতুন এই ধারাবাহিকের বিষয়ে কী বলছেন তিনি? তাঁর বক্তব্য, ‘পুরনো সময়ের কলকাতার ছবি উঠে আসবে এই ধারাবাহিকে। সেই সময়ে বিধবারা কেমনভাবে থাকতেন, তা দেখানো হবে। আসলে সেই সময় তাদের কোনও অধিকার থাকত না। একজন মহিলা যখন বিধবা হতেন, তিনি বেঁচে তো থাকতেন, কিন্তু সমাজ তাঁর প্রতি এমন আচরণ করত যে, তিনি যেন কার্যত মৃত। সমস্ত ব্যক্তি-অধিকার তার থেকে কেড়ে নেওয়া হতো। তারপরও সেই সব মহিলা কেমনভাবে বাঁচতেন, লড়াই করতেন— সেই সবই উঠে আসবে ব্যারিস্টার বাবুতে।’
নিজের অভিনীত চরিত্র প্রসঙ্গে আরিনা জানালেন, মা-মেয়ের রসায়ন অর্থাৎ সুমতি-বন্দিতা সম্পর্কের বন্ডিংটা ধরা পড়বে। মাত্র ছ’মাস আগে স্বামীকে হারিয়ে বিধবা হয়ে বাপের বাড়িতে ফিরে এসেছে সুমতি, এখান থেকেই শুরু হবে ধারাবাহিকের গল্প।
কলকাতার প্রেক্ষাপটে গল্প হলেও মুম্বইতেই সেট তৈরি করে শ্যুটিংয়ের তোড়জোড় চলছে। ‘ব্যারিস্টার বাবু’র কোনও অংশের শ্যুটিং শহর তিলোত্তমায় হবে কিনা সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট ইঙ্গিত নেই প্রোডাকশন টিমের কাছে। অভিনয় সূত্রে আরিনা আরবসাগর পাড়ের বাসিন্দা হলেও তাঁর বাবা-মা কলকাতাতেই থাকেন। বাঙালি হয়ে একজন বাঙালি মহিলার চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে খুবই খুশি তিনি। আর সত্যিই যদি এই ধারাবাহিকের জন্য কলকাতায় শ্যুট করতে আসতে হয়, তাহলে তা হবে উপরি পাওনা, এমনটাই জানালেন ছোটপর্দার সুমতি।