বিদ্যার্থীদের অধিক পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষার ফল ভালো হবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ... বিশদ
আজ, শুক্রবার থেকে আট পর্বের সিরিজটির স্ট্রিমিং শুরু। তার আগে সৌরভ মন্টুর চরিত্রটা নিয়ে বিস্তারিত বলছিলেন। এখনও পর্যন্ত এটাই নাকি তার অভিনয় জীবনের কঠিনতম চরিত্র। সৌরভের ব্যাখ্যা, ‘মন্টু চরিত্রটা বেশ কঠিন। চরিত্রহীনের সতীশ করার সময় মনে হয়েছিল ওটাই বোধহয় সবচেয়ে কঠিন। তবে তার একটা রেফারেন্স ছিল। কিন্তু মন্টু আমাকে তৈরি করতে হয়েছে।’ কেমন সেই প্রস্তুতি? সৌরভ বলছেন, ‘একটা শট ছিল যেখানে মন্টুর ক্রাইসিস দেখাতে হবে। আমি বাথটাবে শুয়ে মায়ের কথা ভাবছি। একচোখ দিয়ে জল পড়ছে। হাতে সিগারেট। কিন্তু ক্রাইসিসটা দেখাব কীভাবে? শটটা করতে গিয়ে সিগারেটের আগুন আমার গলায় এসে পড়ল। আগুনটা সরাতেও পারছি না। অথচ প্রচণ্ড যন্ত্রণা হচ্ছে। যন্ত্রণাটাই মন্টুর ব্যথার ক্রাইসিসটা ফুটিয়ে তুলল। শট শেষে দেবালয়দা জড়িয়ে ধরেছিলেন।’
আর একটা ব্যাপার নিয়েও উত্তেজিত তিনি। নামভূমিকায় অভিনয় এটাই প্রথম আর সেটাই তাঁকে আরও তৃপ্তি দিচ্ছে। ‘গল্পটা আমাকে দেড় বছর আগে শুনিয়েছিলেন দেবালয়দা। বলেছিলেন, মন্টু পাইলট করলে তোকে নিয়ে করব। দেড় বছর লাগল সেটা হতে। কাজ শুরুর আগে বাটানগরে পৈতৃক বাড়িতে একা গিয়ে থেকেছি। সারাদিন ডার্ক মিউজিক শুনতাম। দিনে একবার বাবা, মা, অনিন্দিতাকে ফোন করতাম। বাকি সারাদিন জানলার পাশে বসে থাকতাম। একটা সময় মনে হতো আর পারছি না, দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই ভাবনাটাই আমাকে চরিত্রটা করতে সাহায্য করেছে,’ বললেন অভিনেতা।
ধারাবাহিক, শর্টফিল্ম, সিনেমায় অভিনয়, সঞ্চালনা, পরিচালনা, প্লেব্যাক এই সবকিছুর মধ্যে কৌতুক অভিনেতা সৌরভকেই হয়তো দর্শকের বেশি পছন্দ। সেই ইমেজ ভেঙে আজকের সৌরভ হয়ে ওঠাও সহজ ছিল না, স্বীকার করলেন তিনি। ‘আজ থেকে বছর চার-পাঁচ আগেও কোনওদিন ভাবিনি আমার জীবনেও ভালো দিন আসবে। ছোটবড় সব কাজই সততার সঙ্গে করেছি। অভিনয় দক্ষতা দেখেই আজ হয়তো সকলে কাজের জন্য ডাকছেন। এখন প্রতিদিন যখন ঘুম থেকে উঠে আয়নায় নিজের মুখ দেখি তখন গর্বিত হই’, বলছিলেন তিনি।
অভিনয় তাঁর প্রথম প্রেম হলেও পরিচালনা তাঁর ধ্যান। সদ্য কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সৌরভ পরিচালিত প্রথম স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি ‘দ্য স্পেয়ার কি’ দেখানো হয়েছে। দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছেন। তাই দ্বিতীয় ছবির কাজ শুরু করেছেন। ‘পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবির কাজও খুব শীঘ্রই শুরু করব। কথাবার্তা চলছে’, আশাবাদী সৌরভ। দর্শক যতই তাঁকে কমেডি অভিনেতা মনে করুক ছবি তৈরির সময় সিরিয়াস বিষয় নিয়েই কাজ করতে ভালোবাসেন তিনি। চান রাজনৈতিক বক্তব্য নিজের ছবিতে তুলে ধরতে। ‘কোন নেতা কী বলছেন, তা আমি নজর রাখি। নিজে ওই জায়গায় থাকলে কী করতাম সেটাও ভাবি। রাজনীতিতে আসার ইচ্ছাও রয়েছে। তবে এখনই নয়’, বলছিলেন অভিনেতা। এ তো গেল কাজের কথা। আর লিভ-ইন সম্পর্কটা কবে পরিণয়ের রূপ পাবে? ‘হ্যাঁ সেটাও হবে। আসলে অনিন্দিতা এখন মুম্বইয়ে কাজ করছে। আমরা বিয়ে নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছি। তবে নিজেদের জায়গাটা আর একটু পোক্ত করে তারপর সিদ্ধান্ত নেব’, বললেন সৌরভ। আপাতত মৌলিক বিষয় নিয়ে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আরও ভালো কাজ করতে চান তিনি।