পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। ইদানীং বিবাহবিচ্ছেদের জন্য অন্য কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে হচ্ছে না। আবাহাওয়ার পরিবর্তন বা বায়ুদূষণের মতো বিষয়গুলো এবার মানুষের সম্পর্কেও থাবা বসাতে চলেছে। তেমনই এক কাহিনী নিয়ে পরিচালক নীল মাধব পাণ্ডার ছবি ‘মেঘাস ডিভোর্স’। গত মাসে রোম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হওয়ার পরে গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার হল। বরাবরই একটু অন্যরকম বিষয়কে নিজের ছবিতে তুলে ধরেন নীল। ‘আই অ্যাম কালাম’ বা ‘কৌন কিতনে পানি মে’ যাঁরা দেখেছেন তাঁরা এই পরিচালকের ছবির সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল।
দিল্লির দূষণ বেশ কিছুদিন ধরেই সংবাদপত্র ও খবরের শিরোনামে। এই ছবির প্রেক্ষাপটও দিল্লি। মেঘা আর আকাশের বৈবাহিক জীবনে কীভাবে বায়ুদূষণ প্রভাব ফেলবে তা জানা যাবে ছবিটি দেখলে।
আবহাওয়ার পরিবর্তন যে এখন আর শুধু বৈজ্ঞানিক বা আবাহাওয়াবিদদের চিন্তার বিষয় নয়, তা যে কোনও সময় আমাদের দৈনন্দিন জীবন বা অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলার পাশাপাশি মানুষের আবেগ আর সম্পর্কেও ছাপ ফেলতে পারে। সাধারণ মানুষের কথাবার্তাতেও যে ইদানীং এই দূষণের কথা উঠে আসছে তাই যেন এই ছবিতে বোঝাতে চেয়েছেন পরিচালক।
‘ব্যারট হাউজ’ ছবির সাফল্যের পর মঞ্জতি ফদনিসকে এই ছবিতে দেখতে পাবেন দর্শক। মেঘার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। বললেন, একেবারে সঠিক সময় এই ছবিটা তৈরি হয়েছে। বর্তমানে এমন সঙ্কটের মধ্যে দিয়েই আমরা চলেছি। দিল্লির দূষণ আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে আগামী দিনে আমরা কোন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে চলেছি। মানুষ যা নিয়ে এই মুহূর্তে চিন্তিত সেই বিষয়ের উপর আলোকপাত করতে পারায় আমি গর্বিত। নীলের সঙ্গে কাজ করলে অনেক কিছু শেখা যায়। মেঘার চরিত্রটা আমাকে তৃপ্তি দিয়েছে।’ ছবির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিব্যা দত্ত।
রাশিয়াতে আহ্বান
ইফির এবারে ফোকাস কান্ট্রি রাশিয়া। ফলে সে দেশ থেকে বহু অতিথি এসেছেন গোয়ায়। রাশিয়ান অতিথিদের প্রধান হয়ে এসেছেন মারিয়া লেমেশচেভা। ইংরেজি বলতে পারেন না। তাই ইফির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চে উঠেছিলেন দোভাষী নিয়ে। সেখান থেকেই নিজের দেশের জন্য বিজ্ঞাপনটা সেরে রাখলেন বুদ্ধিমতী মারিয়া। বললেন, ‘রাশিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বেশ খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। গত কয়েকবছর সেই অবস্থা আমরা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছি। আপনাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কথা আমরা জানি। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বরাবরই ভালো। এখন আমাদের সরকার বিদেশি ছবির শ্যুটিংয়ের খরচে ৪০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে। আপনারা আমাদের দেশে শ্যুটিং করতে আসুন।’ তাঁর কথাগুলো পাশে দাঁড়িয়ে তরজমা করে দিচ্ছিলেন দোভাষী ভদ্রলোক। একটি লাইন ইংরেজিতে বললেন মারিয়া। ‘উই লাভ ইউ ইন্ডিয়া।’ জনতাও উই লাভ ইউ টু বলে প্রত্যুত্তর দিল।