গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবের অঙ্গ হিসেবে ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন আয়োজিত ফিল্ম বাজারের উদ্বোধন হল। বুধবার সন্ধ্যায় মিরামার বিচ সংলগ্ন একটি পাঁচতারা হোটেলে এই ফিল্ম মার্কেটের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর। ছিলেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। আগামী ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই ফিল্ম মার্কেট। আন্তর্জাতিক বাজারে দেশজ ছবির প্রচার উদ্দেশেই এই ফিল্ম মার্কেটের আয়োজন।
বাংলা, হিন্দি, মারাঠি, ওড়িয়া সহ ১১টি ভাষার ৩৬টি ছবি দেখানো হবে। ১২টি রাজ্যের ফিল্ম অফিস এবার বাজারে অংশ নিচ্ছে। এই বছর উৎসাহী ছাত্রছাত্রীদের সিনেমা সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জনের জন্য ‘বিহাইন্ড দ্য সিলভার স্ক্রিন, এমপাওয়ারিং দ্য অ্যাসপির্যান্টস’ নামে নতুন একটি বিভাগ রাখা হয়েছে। এই বিভাগে বিভিন্ন ওয়ার্কশপে অংশ নেবেন পরিচালক সুভাষ ঘাই, মেঘনা গুলজার, অভিনেতা আদিল হুসেন, সিবিএফসি চেয়ারম্যান প্রসূন যোশি প্রমুখ। থাকবেন সিদ্ধার্থ রায় কাপুর, সৌন্দর্য রজনীকান্ত, বিশাল ভরদ্বাজরাও।
শান্তির বার্তা
উদ্বোধনী মঞ্চে যেন গান নিয়ে খেলা করছিলেন দু’জনে। ফাদার অব ইন্ডিয়ান জ্যাজ লুই ব্যাঙ্কস আর বলিউডের সঙ্গীত পরিচালক শঙ্কর মহাদেবন। সঙ্গে তবলা, ড্রামস, স্যাক্সোফোনেও ছিলেন ভারতবিখ্যাতরা। সেতারে ছিলেন বাংলার পূর্বায়ন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু শঙ্কর আর লুইয়ের তালমিলটা যেন ছিল ৯০-এর দুই ব্রাজিলীয় মহাতারকা রোমারিও-বেবেতোর মতো। ঠিক যেন এ বল বাড়াচ্ছেন আর ও গোল করছেন। লুই-শঙ্কর, শঙ্কর-লুই।
মঞ্চে এসেই শঙ্কর বলে দিয়েছিলেন,‘আজ আপনারা বলিউড সঙ্গীতের আশা করবেন না। আমরা পুরোটাই আজ ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিক নিয়ে খেলব। আর তারপর কী মিউজিকটাই না পরিবেশন করলেন দুজনে। প্রথম পর্ব শেষ হতেই আর থাকতে না পেরে উঠে দাঁড়িয়ে সর্বপ্রথম অভিবাদন জানান অমিতাভ বচ্চন। তাঁর সঙ্গেই প্রায় গোটা স্টেডিয়াম। পরবর্তী পর্বে আবার সঙ্গীতশিল্পী ক্যারোলিজাকে নিয়ে ফেরেন তাঁরা। সাউন্ড অব মিউজিক ছবির একটি গান পরিবেশন করেন ক্যারোলিজা। আর মহাত্মা গান্ধীর জন্ম সার্ধশতবর্ষে শান্তির বার্তা দিতে শঙ্করের ‘বৈষ্ণব জনতু’র সঙ্গে ইতালিয়ান, চাইনিজ আর জার্মান ভাষায় এই গানটি পরিবেশন করেন ক্যারোলিজা। শেষে ‘মিলে সুর মেরা তুমহারা’ দিয়ে শেষ।
মিনি মুভি ম্যানিয়া
গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের এবার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ। তাই আয়োজকরা বেশ কিছু নতুন জিনিস করার চেষ্টা করছেন। যেমন আইনক্স আর কলা অ্যাকাডেমি ছাড়া অন্যান্য কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহ এবার উৎসবের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এবারই প্রথম ই-টিকিট চালু হয়েছে। চলচ্চিত্রপ্রেমীদের সকলকেই অনলাইনে বা অ্যাপের সাহায্যে টিকিট সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এবছরই প্রথম মিনি মুভি ম্যানিয়া নামে একটি প্রতিযোগিতা বিভাগ চালু করেছে ইফি কর্তৃপক্ষ। এটা শর্ট ফিল্ম কম্পিটিশন। যে কেউ ইচ্ছে করলে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন।
এই প্রতিযোগিতায় দুটি বিভাগ থাকছে—গোয়ান সেকশন আর ন্যাশনাল সেকশন। তবে কী বিষয় সেটা প্রতিযোগিতা শুরুর ৭২ ঘণ্টা আগে ঘোষণা করা হবে। তারমধ্যেই ছবি তৈরি করে জমা দিতে হবে। ছোট ছবির প্রতি দর্শকদের আগ্রহ বাড়াতে এবং দেশ ও স্থানীয় প্রতিভাদের একটা প্ল্যাটফর্ম দিতেই এই উৎসবের আয়োজন বলে জানা গিয়েছে।