বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সম্প্রতি আপনি জানিয়েছেন, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার কারণে আপনাকে নাকি থেরাপিস্টের সাহায্য নিতে হয়েছিল।
আমি মনে করি, জীবনে যদি কিছু খুব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে যায় তাহলে সেটা নিয়ে কথা বলা দরকার। আর থেরাপিস্টের কাছে যাওয়াটা তো দোষের নয়। শরীর খারাপ হলে আমরা তো ডাক্তারের কাছে যাই। দরকার হলে এটা নিয়ে বিশদে কথা বলা যাবে। এখন আমার মধ্যে আর কোনও খারাপ লাগা নেই। আমি এখন কেরিয়ারের বেশ ভালো জায়গায় রয়েছি। প্রচুর কাজ নিয়ে ব্যস্ত। এবার নিজের জন্য কাজ করতে চাই, একজন অভিনেতা হিসেবে, মানুষ হিসেবে এবং অবশ্যই শরীর সুস্থ রেখে। ছবি আঁকা শুরু করেছি। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমি আর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি না।
এক জায়গায় বলেছেন, জন আব্রাহামের সঙ্গে কমেডি ছবি করতে চান। অন্য কোনও ছবি নয় কেন?
আমি নিজে একটা কমেডি ছবি করতে চেয়েছিলাম। আর যে ধরনের ছবি করে এসেছি, সেই সব ছবি থেকে বিরতি নেওয়ার ইচ্ছা ছিল। ‘মে তেরা হিরো’, ‘মুবারকান’-এর মতো ছবি করেছি। সিরিয়াস ছবির মাধ্যমে মানুষ আমার সঙ্গে অনেক বেশি রিলেট করতে পারেন। কিন্তু ‘মুবারকান’ ছবির পরে দর্শক নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন, আমি কমেডি ছবিও করতে পারি। জনও অনেক সিরিয়াস ছবি করেছেন কিন্তু ওঁকে আমার সবচেয়ে ভালো লাগে ‘দোস্তানা’, ‘ওয়েলকাম ব্যাক’ এবং ‘হাউসফুল ২’-এর মতো ছবিতে। জন খুব মিষ্টি ছেলে।
আনিস বাজমির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কীরকম? আপনি তো ওঁর সঙ্গে এর আগে ‘মুবারকান’ ছবিটি করেছেন।
ওঁর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা খুবই মজার। আমি কখনওই ওঁর সঙ্গে চরিত্রে নিয়ে কথা বলিনি। ওঁর কথা অনুযায়ী চলেছি। এই ছবিতে সমস্ত চরিত্রগুলোর মধ্যেই একটা পাগলামো রয়েছে। আমার চরিত্রটাও পাগলাটে কিন্তু ছবিতে অন্যান্য চরিত্রের তুলনায় স্বাভাবিক। এখানে আমি জনের বান্ধবীর চরিত্রে রয়েছি। জন একটা খারাপ সময়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। ওঁর জন্য আমিও খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। পুরো পরিস্থিতিটা খুব মজার। আনিস নিজে খুবই মজার মানুষ এবং প্রতিভাবান। সারাক্ষণ রিল্যাক্স মুডে থাকেন। কখনওই মনে হয়নি যে, আমরা শ্যুটিং করছি।
ব্যক্তিগত জীবনে কোনও পাগলামি করেছেন?
আমি মিশ্র ধর্মের পরিবারের মধ্যে বড় হয়েছি। আমার মা মুসলমান এবং বাবা ক্রিশ্চান। আমাদের বিরাট বড় পরিবার। সবাই যখন একত্র হয়, দারুণ পাগলামি চলতে থাকে।
আপনার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ফলোয়ার সংখ্যা তো এক কোটি দশ লক্ষ ছাড়িয়ে গেল।
সত্যিই এটা অসাধারণ। আমার পোস্টগুলো সবার ভালো লাগছে, তাঁদের কাছে আমি খুবই কৃতজ্ঞ। আমি চাই তাঁরা সবাই প্রেক্ষাগৃহে এসে আমার এই ছবিটি দেখুন এবং একই রকমের ভালোবাসা দেখান।
আপনি অভিনয় শুরু করেছিলেন দক্ষিণ থেকে। কিন্তু এখন আর আপনাকে দক্ষিণী ছবিতে দেখা যায় না কেন?
‘বরফি’ শুরু করার সময় আমি বেশ ভালো জায়গাতে ছিলাম। সেই সময়েই নতুন করে মুম্বইতে কাজ শুরু করি। এখানে সেটল হতে বেশ খানিকটা সময় লেগেছে। তবে আমি যে কোনও রকমের ছবিতে কাজ করার জন্য প্রস্তুত। দক্ষিণ থেকে যদি ভালো চিত্রনাট্য পাই নিশ্চয়ই কাজ করব। আমার কোনও ছুৎমার্গ নেই। আমার কাছে কনটেন্টই শেষ কথা, সেটা দক্ষিণ, হিন্দি কিংবা হলিউড যা কিছু হতে পারে। চিত্রনাট্য এবং চরিত্রটি অবশ্যই ভালো হতে হবে। এই বিষয়ে আমি খুবই খুঁতখুঁতে। অভিনেতা হিসেবে আমার সেই খিদেটাও আছে। আমি ভালো পরিচালক এবং অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। অনেক সময় বিষয়টি কঠিন হলেও আমি সর্বদা সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করি।
‘বরফি’তে আপনার চরিত্রটি তরুণ থেকে বয়স্ক পর্যন্ত ছিল। সম্প্রতি এই বয়স নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিতর্ক হয়েছিল, বয়স্ক চরিত্রে কেন তরুণ তারকাদেরই নেওয়া হবে। ‘সান্ড কি আঁখ’ ছবিতে বয়স্ক চরিত্রে অভিনয় করার জন্য তাপসী পান্নু এবং ভূমি পেডনেকরকে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছিল। কী বলবেন?
এই ছবির ব্যাপারে আমি অনেক প্রশংসাও শুনেছি। কিন্তু এই বিষয়ে আমি এখন কোনও মন্তব্য করতে পারছি না। কারণ ছবিটি এখনও আমার দেখা হয়নি। আমি এটাই ভাবতে চাই যে, একজন পরিচালক যখন তাঁর ছবির জন্য অভিনেতা বেছে নেন, সেটা ছবির বিষয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই ঠিক করেন। যদি একজন পরিচালক ঠিক করেন, এই অভিনেতাই তাঁর ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ তাহলে আর বয়স কোনও ফ্যাক্টর নয়। ‘বরফি’ ছবিতে আমাকে ২৮ বছর বয়স থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত দেখানো হয়েছিল। একজন তরুণ অভিনেতা যদি বয়স্ক চরিত্রে অভিনয় করে, আমি তার মধ্যে কোনও সমস্যা দেখি না। পরিচালক জানেন তিনি কী চাইছেন। সমস্ত সিনিয়র অভিনেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই বলছি, এই বিষয়টা সম্পূর্ণ পরিচালকের ব্যাপার। পরিচালক তুষার হিরানান্দানি নিশ্চয়ই অভিনেতা নির্বাচনের আগে অনেকটা ভেবে তবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাপসী এবং ভূমি দু’জনেই অসামান্য অভিনেত্রী।
আগামী ছবি ‘বিগ বুল’ নিয়ে কিছু বলুন।
এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে বলতে পারি, ছবিটি পরিচালনা করছেন কুকি গুলাটি এবং ছবির বিষয়বস্তু বেশ অন্য রকমের। আমার চরিত্রটা তথাকথিত হিরোইনের মতো নয়। এখন এইটুকুই বলতে পারি।