রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পথ আটকে দাঁড়িয়ে ভক্ত
গাড়ি থেকে মূল প্রবেশদ্বার পর্যন্ত পুলিস ফাঁকা করে দিয়েছে। সেখানে সাংবাদিকদের প্রবেশও বারণ। তাতে কী হয়েছে? পথ আটকে দাঁড়িয়ে রইলেন এক মাঝবয়সী মহিলা। রাখীকে দেখবেন তিনি। পুলিসের অনুরোধ তিনি কানেও নিলেন না। উল্টে কটমট চোখে তাকিয়ে রইলেন। রাখীর পিছন পিছন নিরাপত্তা বেষ্টনী টপকে ভিতরে ঢোকার সময়েই মহিলা নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে আটকালেন। তবুও তাঁর যায় আসে না। প্রবেশ দ্বারের এক পাশে কাঁদো কাঁদো মুখ করে দাঁড়িয়ে রইলেন।
শুরু হয়েও হল না
রাখী গুলজার, রাজ চক্রবর্তী এবং শশী পাঁজা সাংবাদিক সম্মেলনে বসলেন। তখনও ‘নির্বাণ’ ছবির পরিচালক গৌতম হালদার আসেননি। তাই রাখী বললেন,‘আমি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসি।’ রাজ বললেন, ‘দিদি আপনি এখন বাইরে গেলে আবার ভিড় হয়ে যাবে।’ রাখী নাছোড়। তিনি তবুও বেরলেন। খানিকক্ষণের মধ্যে ফিরেও এলেন। বলেই দিলেন, ‘আমাকে প্রশ্ন না করলে কিন্তু কথা বলতে পারব না।’
হাসপাতালে ছিলেন রাখী
‘নির্বাণ’ ছবির প্রপোজাল যেদিন আসে, সেদিন রাখী হাসপাতালে ছিলেন। ওইদিনেই দিদা হয়েছিলেন তিনি। ‘তারপর আমি পরিচালককে আমার ফার্মহাউজে ডেকেছিলাম। গরু-ছাগলের মাঝখানেই গল্পটা শুনলাম। শুধু যে আমার চরিত্রটার জন্য রাজি হয়েছিলাম, তা কিন্তু নয়। ছবির গল্পটা ছাড়া কোনও দিক দেখিনি। এই ছবিতে আমি ছাড়া সবাই নতুন। আপনারা দেখবেন সবাই কী ভালো অভিনয় করেছেন’, বলছিলেন রাখী।
হিন্দিতে হবে নির্বাণ
রাখী মনে করেন, দেশের প্রতিটা কোণায় এই ছবিটি দেখা উচিত। তিনি পরিচালককে বলেছিলেন, এই ছবিটা হিন্দিতে তৈরি করা দরকার। শুধু রাখী নন, যত অভিনেতা কাজ করেছে সবাই নিজের কণ্ঠেই হিন্দিতে ডাবিং করেছেন। সেই কাজটা সম্পূর্ণ হয়েছে। ‘বাংলা ভার্সন যদি মানুষের ভালো লাগে তাহলে হিন্দি ভার্সনটাও রিলিজ করা হবে’, বলছিলেন রাখী।
ভূতের ভবিষ্যত্ ভালো লেগেছে
বাংলা ছবির চ্যানেলগুলো রাখীর বাড়িতে দেখা যায়। সেখানেই দুর্গাপুজোর সময় একটি ছবি তাঁর চোখে পড়ে। ছবিটির নাম ‘ভূতের ভবিষ্যত্’। এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে পাশ থেকে গৌতম হালদার ছবির পরিচালকের নাম যে অনীক দত্ত, সেকথা জানিয়ে দিলেন। রাখী বললেন, ‘ছবিটা কিছুটা শুরু হয়ে গিয়েছিল। তারপর আমি দেখলাম। খুব মজার ছবি ছিল। এটুকুই জানি।’
বিজ্ঞানী হতে চেয়েছিলেন
রাখী পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, তিনি কোনও ছবিতে এখন আর অভিনয় করবেন না। কেন? তাঁর বক্তব্য, ‘আমি যে সব পরিচালকদের সঙ্গে কাজ শুরু করেছিলাম তাঁরা গুরু ছিলেন। ওঁরা সবাই শিক্ষক ছিলেন। আমি কিচ্ছু জানতাম না। ওঁরা আমাকে বলে দিতেন, কী করতে হবে? বিজ্ঞানী হতে চেয়েছিলাম। হয়ে গেলাম অভিনেত্রী। কিন্তু ঠিক করেছিলাম, এই কাজটার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করব না। সবার কাছ থেকে কিছু না কিছু শিখেছি।’
গাছে চড়তে পারেন
ছোটবেলা থেকেই রাখীকে জঙ্গল আকর্ষণ করে। গাছে চড়া, চূর্ণী নদীতে সাতাঁর কাটা সবকিছুতেই তিনি সিদ্ধহস্ত। আর খাওয়া দাওয়া? তিনি বললেন,‘বাড়িতে এখনও বাঙালি রান্না হয়। এখনও তার বাইরে বেরতে পারিনি।’
কলকাতার সব রাস্তাঘাট তাঁর চেনা
রাখী মাঝেমধ্যেই কলকাতায় আসেন। কিন্তু নিঃশব্দে আসেন। এমনটাই জানালেন তিনি। বলছিলেন, ‘লোকে জানতেই পারে না। কখন আসি, কখন যাই। কখন কোথায় ঘুরে বেড়াই। প্রত্যেকটা রাস্তাঘাট আমার চেনা। সে মাছের বাজার হোক বা তেলে ভাজার দোকান।’ লেক মার্কেটের পাশে রাধুবাবুর দোকানের খাবার তাঁর বেশ প্রিয়। মুচকি হেসে বললেন, ‘এখন আমাকে রাস্তাঘাটে অনেকেই চিনতে পারে না। তার ফলে সুবিধা হয়।’
অযোধ্যা রায়
সুপ্রিম কোর্টের রায় শুনে খুশি রাখী। তাঁর কথায়,‘এবার রাম আর রহিম একসঙ্গে থাকবে। আর কিছু আমার বলার নেই।’