পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
১৮৭৭ সালে কলকাতার হেয়ার স্কুলে ফুটবল শুরু করেছিলেন ছাত্র নগেন্দ্রপ্রসাদ। সহপাঠীদের উদ্বুদ্ধ করে তিনিই স্কুল সংলগ্ন মাঠে ফুটবল খেলতে নিয়ে আসেন। তাঁর এই উদ্যোগের ফলে ছাত্রদের উৎসাহ দেখে হেয়ার এবং আশপাশের অন্যান্য কলেজের ইউরোপিয়ান শিক্ষকরাও উৎসাহ দিতেন কলকাতায় নগেন্দ্রনাথের ফুটবল প্রসারে। এপরপরেই ‘দ্য বয়েজ ক্লাব’ নামে এদেশের প্রথম ফুটবল ক্লাবের জন্ম হয় নগেন্দ্রনাথের হাতে। চেনা ইতিহাসের অচেনা দিক নিয়ে কাজ করাটা পছন্দ ধ্রুবর। ‘বাংলার চেনা ইতিহাসের মধ্যেই নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীর মতো একজন যুগপুরুষ মানুষ ছিলেন, অথচ তাঁর সম্পর্কে বাঙালি খুব বেশি জানে না। তাই অনেকদিন ধরেই আমার স্বপ্ন ছিল যদি এই মানুষটার কাহিনী যাতে দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে পারি’, বলছেন ধ্রুব। বাঙালির গৌরবকে তাঁর বলা গল্পের মধ্যে, তাঁর ছবির মধ্যে খুঁজতে উৎসাহী এই পরিচালক। ‘এই যে হারিয়ে যাওয়া একটা অধ্যায়, কী অসাধারণ একটা বর্ণময় মানুষ ছিলেন নগেন্দ্রপ্রসাদ সেটাই আমার ছবিতে তুলে ধরার চেষ্টা করব’, বলছেন ধ্রুব। তবে এটা যে বায়োপিক নয়, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। নগেন্দ্রপ্রসাদের জীবন এবং সেই সময়ের ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের মতো করে গল্প বলবেন পরিচালক। ‘আমি তো তথ্যচিত্র তৈরি করছি না। ছবির প্রয়োজনে যেটুকু পরিমার্জন দরকার সেটুকুই শুধু করব’, বললেন গুপ্তধন সিরিজ করে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা পরিচালক। নগেন্দ্রপ্রসাদের চরিত্রে দেবকে নির্বাচন করা নিয়েও বেশ স্পষ্ট বক্তব্য তাঁর। বললেন,‘নগেন্দ্রপ্রসাদের সঙ্গে দেবের চেহারার একটা অদ্ভুত মিল রয়েছে। আপনি যদি নগেন্দ্রপ্রসাদের সাদা-কালো ছবিগুলো দেখেন তাহলে মনে হবে যে উনি আর দেব বোধ হয় একই মানুষ।’ এবার পরবর্তীকালে কীভাবে এগনো হবে তা নিয়ে খুব শিগগিরই প্রস্তুতি শুরু করে দেবেন তিনি। ছবিতে ব্যক্তি নগেন্দ্রপ্রসাদ এবং সেই সময়ের ঘটনা মিলিয়েই চিত্রনাট্য তৈরি করছেন পরিচালক। তবে দেব ছাড়া এখনও কোনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করছেন বিক্রম ঘোষ। তবে চিত্রনাট্য লেখার সময় ধ্রুব নিজেও গানের বিষয়টা মাথায় রাখেন। ‘এই ছবিতে সঙ্গীতের ব্যবহারও অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ। সেসব নিয়েও আমার কিছু নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। বিক্রমদার সঙ্গে আলোচনা করে সব ঠিক করব’,বললেন তিনি। শ্যুটিং শুরু হবে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে। মূলত উত্তর কলকাতা জুড়েই হবে শ্যুটিং।