নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
টাক বা আশপাশের টাকমাথা লোকেদের সম্পর্কে আপনি কীরকম মত পোষণ করেন?
আমার কাছে এটা খুবই সাধারণ ব্যাপার। জীবনের একটা অংশ।
নায়িকাদের তো চুলের যত্ন নিতে গুচ্ছের ট্রিটমেন্ট করাতে হয়। চুল নিয়ে আপনি কতটা চিন্তিত?
শ্যুটিংয়ের জন্য সত্যিই আমাদের চুলকে প্রচুর অত্যাচার সহ্য করতে হয়। আর আমাদের অন্য পথও খোলা নেই। মা আমার মাথায় হার্বাল তেল লাগিয়ে দেন, সবসময় আমাকে ভালো খাবার খেতে দেন। চুল ও ত্বকের বিভিন্ন প্রোডাক্ট থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করি।
টাক পড়া কি এখন একটা ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হয়ে গিয়েছে বলে মনে হয়?
অবশ্যই। ভিন ডিজেল এবং রক তো নিজেদের দারুণভাবে ক্যারি করেন। বাস্তব জীবনেও অনেককে দেখেছি যাঁরা টাক নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন।
‘বালা’কে আপনি কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
চুল পড়া নয়, দিনের শেষে নিজেকে ভালোবাসা বা নিজের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখাটাই আসল কথা। ‘উরি’র জন্য আমি চুল কেটে ছোট করেছিলাম। অনেকেই বলেছিল যে এত ভালো চুল কাটলে কেন। আমার মায়ের ছোট চুল পছন্দ। আবার আমার বাবার পছন্দ সুন্দর ঘন লম্বা চুল। কিন্তু আপনি কী মনে করছেন সেটাই বড় কথা।
আপনি তো নিজে একটা ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। আপনার কাছে সুন্দরের সংজ্ঞাটা কীরকম?
কুড়ি বছর আগেও তো নায়িকারা ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপনে কাজ করতেন। কেউ জানতেন না যে ‘ভিকি ডোনর’ সুপারহিট হবে। আমি কিন্তু নির্মাতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের বুঝিয়েছিলাম যাতে একটু অন্যভাবে প্রচার করা যায়, যাতে মানুষকে এটা বোঝানো যায় যে, যে কোনও বর্ণই ভালো। সৌন্দর্যকে কোনও গণ্ডি দিয়ে বেঁধে দেওয়াটা উচিত নয়। মানুষ এতকিছু না বুঝেই ট্রোলিং করে সেটা দেখে খারাপ লাগে।
আপনি কি এটা মানেন যে আমরা এখনও সেকেলে এবং এখনও হাতে গোনা শ্যামবর্ণা অভিনেত্রীরাই জনপ্রিয়?
আমার সেটা মনে হয় না। বিপাশা বসু, রাধিকা আপ্তে, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, নন্দিতা দাস— লম্বা তালিকা রয়েছে। এই নামগুলো বলতেও খারাপ লাগছে, কারণ এটা ওঁদের অসম্মান করা। আমার মনে হয় না কোনও সুস্থ মস্তিষ্কের পরিচালক ত্বকের বর্ণ দেখে নায়িকা নির্বাচন করেন। সাফল্য রং দেখে আসে না, পরিশ্রম করে আসে। মানুষের মানসিকতা বদলাতে আমাদের আরও কাজ করতে হবে।
সাফল্যের সঙ্গে সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিতে আপনার স্ট্রাগল কি শেষ হয়েছে?
আমার মনে হয়না সেটা কোনওদিন শেষ হবে। সাফল্য এসছে বলে তো আমি হিমাচলের অতীত ভুলতে পারব না। সাফল্যের পাশাপশি জীবনে কষ্ট দুঃখ তো থাকবেই। তখন নিজের মনের জোর ঠিক রাখতে পরিবারের সাহায্য খুব কাজ করে।
ছবিতে তো ভূমি পেড়নেকর রয়েছেন। তাহলে রাজি হলেন কেন?
সেটা ছবিটা দেখলে বুঝতে পারবেন। আমি এরকম চরিত্র আগে করিনি। মেয়েটা মফসসলের মডেল। ভূমির সঙ্গে আমার দারুণ বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে।
সাত বছর পর আবার আয়ুষ্মানের সঙ্গে কাজ করলেন। ওর মধ্যে কী কী পরিবর্তল লক্ষ্য করলেন?
শ্যুটিংয়ের সময় ‘ভিকি ডোনর’ এর দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ত। তবে এখনও আমরা খুব ভালো বন্ধু।
ইন্ডাস্ট্রি থেকে কী শিখলেন?
অনেককিছু। দায়িত্ব, কাজের প্রতি সততা। এত ফ্যান, সম্মান সবকিছুই তো এই ইন্ডাস্ট্রিরই দেওয়া। আমার থেকে হয়তো আরও যোগ্য অভিনেতা রয়েছেন কিন্তু তাঁরা সুযোগ পাননি। আমি পেয়েছি। তাই আমাকে সেই সুযোগের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা উচিত।
এখনও তো যশরাজ বা ধর্মার মতো প্রযোজকরা দূরে।
ওরা কি সাফল্যের মানদণ্ড! আমি তো কাজ করতেই চাই। কিন্তু আমার মনে হয় আজকে ভালো চিত্রনাট্য ও ভালো পরিচালকই শেষ হাসি হাসে।
এমন কোনও কোনও পুরুষ ফ্যান আছেন যিনি আপনার জন্য অপ্রত্যাশিতভাবে এমন কিছু করেছেন যেটা এখনও ভুলতে পারেননি?
এক জনকে মনে আছে। কলকাতার ছেলে। ওর হাতে আমার নামটা ট্যাটু করিয়েছিল। আমি ওর কাছে কারণ জানতে চেয়েছিলাম। ও বলেছিল এমনিই ট্যাটু করেছি। তারপর আমি জানতে চেয়েছিলাম যে বিয়ের পর কী হবে? ও বলেছিল স্ত্রীকে মানিয়ে নিতে হবে। আমি আইন নিয়ে পড়েছিলাম বলে সেই ছেলেটিও আইন নিয়ে পড়ছিল। কলকাতায় গিয়ে ওর সঙ্গে দেখাও করেছিলাম। ও আমাকে অনেক উপহার দিয়েছিল।
এরপর আপনাকে কোন ছবিতে দেখা যাবে?
বিক্রান্ত ম্যাসের সঙ্গে ‘জিনি ওয়েডস সানি’র শ্যুটিং শেষ করলাম। আরও দুটো ছবি নিয়ে কথা চলছে।