পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় ‘সোনার কেল্লা’ আর ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’ ছবিতে প্রদোষ চন্দ্র মিত্রর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। পরে সত্যজিৎ পুত্র সন্দীপ রায় যখন ফেলুদাকে নিয়ে সিনেমা তৈরি করেন, তখন ফেলুদার ভূমিকায় অভিনয় করতেন সব্যসাচী চক্রবর্তী। পরবর্তীকালে আবির চট্টোপাধ্যায়কে ফেলুদারূপে আমরা পেয়েছি সন্দীপেরই পরিচালনায় ‘বাদশাহী আংটি’তে। আবির পুনরায় ব্যোমকেশ বক্সীর চরিত্রে অভিনয় শুরু করায় সন্দীপ ফের সব্যসাচীকে ফেলুদার চরিত্রে নিয়ে ছবি করেন। এখনও পর্যন্ত এদেশে রায় পরিবারের বাইরে কেউ ফেলুদার ছবি পরিচালনা করেননি। হিন্দিতে একবার সুজিত সরকারের নাম পরিচালক হিসেবে উঠে এলেও শেষপর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি। বাংলাদেশে অবশ্য পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ফেলুদা ওয়েবসিরিজ হয়েছে। সেই সিরিজে ফেলুদার চরিত্রে পরমব্রতই অভিনয় করতেন। সেদিক থেকে এদেশে বিশেষ করে বাংলায় সৃজিতের হাতে ফেলুদার আগমন তাৎপর্যপূর্ণ তো বটেই।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘কাকাবাবু সিরিজ’ নিয়ে ইতিমধ্যেই পরপর ছবি করছেন সৃজিত। আগামী বছরের পুজোতেই এই সিরিজের নতুন ছবি মুক্তি পাবে। তারমধ্যেই ফেলুদা তৈরির গুরুভারও নিজের কাঁধে নিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই দর্শকদের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি হবে এটা জানতে যে, কে ফেলুদার ভূমিকায় অভিনয় করছেন। সৃজিত বলছেন,‘ ওয়েব সিরিজ হলেও সিনেমার মতো করে শ্যুটিং করছি। গল্প দুটো নির্বাচন হয়েছে। কাস্টিং এখনও বাকি। অনির্বাণ ভট্টাচার্য, টোটা রায়চৌধুরী আর ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তর কথা মাথায় আছে। এঁদের মধ্যেই কাউকে চূড়ান্ত করব।’ তবে জটায়ুর চরিত্রে ইতিমধ্যেই ফাইনাল হয়েছেন অনির্বাণ চক্রবর্তী। যিনি একেনবাবু সিরিজ করে ইতিমধ্যে পরিচিত। ফেলুদার সহকারী তোপসে চরিত্রের জন্য অডিশন নেবেন বলে জানালেন পরিচালক।