কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
নাম দেখে একটা জিনিস পরিষ্কার যে ইন্টারনেট সংক্রান্ত বিষয় এই ছবির উপজীব্য। বর্তমান যুগে ইন্টারনেট ছাড়া আমরা প্রায় অচল। আর সেই সুযোগই নিয়ে চলেছে বিভিন্ন সার্ভিস প্রোভাইডার সংস্থা। বিভিন্ন প্যাকেজে আনলিমিটেড ডেটা নেওয়ার সুযোগ দেয় তারা। আর রহস্য লুকিয়ে সেখানেই। পরিচালক মানস বসু বলছেন,‘আমরা সকলেই নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময় আনলিমিটেড ডেটা কিনি। আসলে কিন্তু আমরা দৈনন্দিন যে ডেটা পাই সেটা আনলিমিটেড নয়। আসলে সেটা দৈনন্দিন ১.৪ জিবি ডেটা। সেটাই আমি ছবিতে তুলে ধরেছি।’
একটি বাচ্চা ছেলে, তার মা এবং দিদাকে নিয়ে গল্প দানা বেঁধেছে। আজকের সময় আমরা কীভাবে অন্তর্জালে জড়িয়ে পড়ছি এই ছবি সেইদিকেও আলোকপাত করবে। নেট দুনিয়া আমাদের দৈনন্দিন আবেগ গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করছে। কে কত একা, সেটা তাঁর ডেটা খরচের বহর দেখলে অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। পরিচালক বলছেন,‘চিঠি লেখার অভ্যাস আমরা দীর্ঘদিন ত্যাগ করেছি। এখন যে কোনও সম্পর্কের আবেগ, সেটা ভালোবাসা, ঘৃণা বা রাগ যাই হোক না কেন ইন্টারটেনটেই সেটা আমরা উগরে দিচ্ছি। দুটো মানুষ পাশাপাশি বসে থাকলেও আজ আমরা আর কথা বলি না। বরং হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুকেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করি। আসলে ফিজিক্যাল টাচ ব্যপারটাই ক্রমে অপ্রচলিত পর্যায় চলে যাচ্ছে। সেই দিকটাই আমি দেখাতে চেষ্টা করেছি।’
যশোজিৎ ছাড়া এই শর্টফিল্মের অন্য দুই কুশীলব দেবলীনা দত্ত এবং লাবণী সরকার। সিনেমাটোগ্রাফার অরিন্দম ভট্টাচার্য। সাড়ে চৌদ্দ মিনিটের এই শর্টফিল্মটির প্রযোজক মিলন দত্ত। নভেম্বরে ছবিটি কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব ছাড়াও প্রায় একই সময় ইতালির সালেরনো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও দেখানো হবে।