কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
‘মনোরমা সিক্স ফিট আন্ডার’ বা ‘এনএইচ ১০’ ছবির সময় বুদ্ধিবিভ্রাট না ঘটলেও ‘লাল কাপ্তান’ এর সময় নিশ্চিতরূপেই তা ঘটেছে পরিচালক নভদীপ সিংয়ের। ছবিতে কী হচ্ছে, কেন হচ্ছে তা কেউই হয়তো ঠিক করে বলতে পারবেন না। প্রেক্ষাগৃহে গুটিকয়েক দর্শক উপস্থিত ছিলেন। তবে তাঁরাও একশো শতাংশ নিশ্চিত এই ছবির চিত্রনাট্য রচনার সময় লেখকের নিশ্চিত মতিভ্রম হয়েছিল। ফ্লপের দৌড়ে গত বছরে রিলিজ করা সইফের ‘বাজার’-কেও কয়েক যোজন পিছনে ফেলেছে ‘লাল কাপ্তান’। লুকে, ডায়লগে কিছুটা লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করলেও অতি দুর্বল চিত্রনাট্যের সৌজন্যে তা ধোপে টেকেনি। সাধু-ঘাতক-ইতিহাসের টানাপোড়েনে আটকে গিয়েছেন তিনি। সোনাক্ষীকে মাত্র একটি দৃশ্যে দেখা গিয়েছে। তাতে নাগাসাধু ওরফে সইফকে রহমত খানের সুপারি দিচ্ছেন তিনি। কিন্তু এই মহৎ উদ্দেশ্যের কারণ বা হীরবাঈয়ের পরিচয় সম্পর্কে একটি শব্দও খরচ করেননি পরিচালক। ফলে গল্পের জট আরও বেড়েছে। বিরতির পর ছবি কিছুটা গতি পায়। কিন্তু ততক্ষণে ভরাডুবি হয়ে গিয়েছে। এই ছবিতে সইফের পর যদি কেউ নজর কেড়ে থাকেন তিনি জোয়া হুসেন। দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন তিনি। কয়েকটি জায়গায় তো রীতিমতো চমকে দিয়েছেন। কমিক রিলিফে নজর কেড়েছেন দীপক দোবরিয়াল। সইফের মুখে এই ছবিতে একটি সংলাপ ‘মৃত্যুর প্রস্তুতি জন্মের পর থেকেই শুরু হয়ে যায়।’ লাল কাপ্তান ছবিটির ক্ষেত্রে যা অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। কারণ চিত্রনাট্য লেখার পর থেকেই এই ছবি যে ফ্লপ তা একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল।