বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ছবির শিরোনাম থেকেই অনুমান করা যায় যে এক একটি পদের হাত ধরে ছবিগুলোয় সম্পর্কের জাল বোনার চেষ্টা হয়েছে। নীল বি মিত্রর গল্প ও অদিতি রায়ের পরিচালনায় ‘দাওয়াত-এ-বিরিয়ানি’র মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে ছ’য়ের দশকে লখনউয়ের পারফেক্ট বিরিয়ানি রেসিপির সন্ধান। বিরিয়ানির ইতিহাস ঘাঁটতে গিয়ে সেখানে প্রবেশ ঘটেছে প্রেম, বন্ধুত্বর। ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৌরসেনী মৈত্র, সুহাসিনী মুলে, চিরঞ্জিত, জয়ন্ত কৃপালনী, অনুরাধা মুখোপাধ্যায়, সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। অদিতি বললেন, ‘খাবার এবং বিভিন্ন সম্পর্ককে একসূত্রে গেঁথে দেওয়ার মতো এরকম সুযোগ খুব একটা পাওয়া যায় না। একদম নতুন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। আশা করি দর্শকদের পছন্দ হবে।’ সুদীপ দাস পরিচালিত ‘ডাব চিংড়ি’র মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে বাঙালি নস্টালজিয়া। একটি বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকরা কীভাবে ক্যাটারিং ব্যবসার মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং কীভাবে তাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বীর মোকাবিলা করে তাই নিয়েই তৈরি হয়েছে ছবি। সেখানে ডাব চিংড়িই একসময় সাফল্যের গুরত্বপূর্ণ শর্ত হয়ে ওঠে। এই ছবিতে রয়েছেন সন্ধ্যা রায়, ঈশা সাহা, সাহেব ভট্টাচার্য, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মিঠু চক্রবর্তী প্রমুখ। সুদীপের কথায়, ‘আমাদের অতীতকে ফিরে দেখা দরকার। এই ছবিটা কিছুটা হলেও হারিয়ে যাওয়া মা-দিদিমার হাতের রান্না, তাঁদের গল্পকে আজকের দিনে এনে হাজির করেছে।’ অন্যদিকে ‘ফিল্টার কফি লিকার চা’র মধ্যে কলকাতা ও দক্ষিণ ভারতের যোগসূত্র স্থাপন করেছেন পরিচালক দেবারতি গুপ্ত। পরস্পর বিপরীত সমাজজীবন থেকে উঠে আসা একটি তামিল ছেলে ও একজন বাঙালি মেয়ের প্রেমের গল্প, যেখানে লিকার চা ও ফিল্টার কফি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দেবারতি মজা করে বলছিলেন, ‘বাকি দুটো ছবিতে রান্নার অনুষঙ্গ বেশি রয়েছে। আমি যেহেতু রান্না করতে পারি না, তাই হয়তো এই ছবিটা আমার কাছে এল। কিন্তু এই ছবিতেও খাওয়াদাওয়ার প্রচুর অংশ এসেছে। দর্শকরা নিরাশ হবেন না।’ এই ছবিতে দেখা যাবে প্রিয়াঙ্কা সরকার, নিশান নানাইয়া ও রূপসা গুহকে। একটি বিশেষ চরিত্রে ঊষা উত্থুপ এই ছবির অন্যতম আকর্ষণ । তিনটি ছবিই সংশ্লিষ্ট ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে দেখা যাচ্ছে।