পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুজো প্যান্ডেলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লাইন পড়ছে শহরের প্রেক্ষাগৃহের বাইরে। মাল্টিপ্লেক্স কিংবা সিঙ্গল স্ক্রিন সবদিকেই কিন্তু দর্শকের উত্সাহ চোখে পড়ার মতো। হিন্দি ছবি ‘ওয়ার’-এ হৃতিক রোশন এবং টাইগার শ্রফকে দেখার উত্সাহ মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সবকটা ছবিকে পিছনে ফেলে ‘ওয়ার’ প্রথম দিনের নিরিখে এক নম্বরে। সূত্রের খবর, অন্যান্য সমস্ত ছবি থেকে বাংলায় ‘ওয়ার’ অনেকাংশে এগিয়ে রয়েছে। বলতে গেলে এই ছবিটি এককথায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে। সর্বভারতীয় অঙ্কের দিকে তাকালেও অনেকটা আন্দাজ করা যায়। এই ছবি প্রথম দিনেই সর্বভারতীয় স্তরে তিপ্পান্ন কোটির উপর ব্যবসা করেছে। বাংলাও কিন্তু সেই অঙ্কের বাইরে নয়। এ তো গেল হিন্দি ছবির কথা। এবার বাংলা ছবির কথায় আসি। দেখা যাচ্ছে, প্রথম দিনের হিসেবে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘গুমনামি’ ছবিটি বাংলা ছবির প্রতিযোগিতায় সবার আগে রয়েছে। ছবি মুক্তির আগে প্রবল বিতর্ক এবং এই ছবি ঘিরে নানারকমের আলোচনার সুফলই এই মুহূর্তে ছবিটি ভোগ করছে বলে সূত্রের খবর। শুধু তাই নয়, ছবিটির বিষয়বস্তুর সঙ্গে যেহেতু নেতজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাম জড়িয়ে রয়েছে তাই বাঙালি কিছুতেই এই ছবি বড়পর্দায় দেখার সুযোগ ছাড়তে চাইছেন না। তবে সৃজিত যে একেবারে চিন্তামুক্ত হয়ে বসে আছেন তা কিন্তু নয়। শহরের একটি মাল্টিপ্লেক্স সূত্রের খবর, দুপুরের পর থেকে যে শোগুলো হচ্ছে সেখানে ‘গুমনামি’কে পাল্লা দিচ্ছে কোয়েল মল্লিকের ‘মিতিন মাসি’। ‘গুমনামি’ যদি ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ প্রেক্ষাগৃহ পূর্ণ করতে পারে তাহলে ‘মিতিন মাসি’ও কিন্তু ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ প্রেক্ষাগৃহ পূর্ণ করার ক্ষমতা রাখছে। প্রিয়া সিনেমাহলের কর্ণধার অরিজিত্ দত্তর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার হলে ব্যোমকেশ, মিতিন মাসি এবং পাসওয়ার্ড ছবিটি চলছে। সিদ্ধান্তে আসাটা সত্যিই কঠিন। শো টাইমের উপরে অনেক কিছু নির্ভর করে। ব্যোমকেশের শোগুলো সকালে ছিল। তার মধ্যে মিতিন মাসি এবং পাসওয়ার্ড এগিয়ে রয়েছে।’ অর্থাত্ বাংলা ছবির মধ্যে নিঃসন্দেহে এগিয়ে রয়েছে ‘গুমনামি’ এবং ‘মিতিন মাসি’। তারপরে আসছে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের ‘পাসওয়ার্ড’ এবং সায়ন্তন ঘোষালের ‘সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ’। শহরের আরও এক সিঙ্গল স্ক্রিন নবীনাতেও চিত্রটা একই রকম। এই হলেও হিন্দি ছবি চলছে না। এখানেও বাংলা ছবির মধ্যে ‘গুমনামি’ এগিয়ে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
যদিও এ কথা বলাই বাহুল্য, সামগ্রিক চিত্রটি উঠে আসতে এখনও সময় লাগবে। প্রথম দিনের দর্শকদের চাহিদার উপর তো আর পুরো ছবির ব্যবসা নির্ভর করে না কিংবা মানুষ কোন ছবি দেখতে চাইছেন তার হিসেবও করা যায় না। এখন শুধুমাত্র আভাসটুকু তুলে ধরা হল।
তবে যে বিষয়টা দেখার দরকার, ছবি দেখার সুযোগ মানুষকে করে দিতে হবে। ছবি যদি হলেই না থাকে তাহলে তো আসলে মানুষকেই বঞ্চিত করা হল। যে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল, শারদোত্সবের প্রক্কালে মুক্তি পাওয়া প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যর ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’ ছবিটিকে। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে প্রচুর মানুষের প্রশংসা পাওয়া সত্ত্বেও ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে নেই।